১৬ নির্দেশনা থার্টি ফার্স্ট নাইটে, না মানলে পুলিশের ব্যবস্থা

থার্টি ফার্স্ট নাইটের ব্যাপারে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এসব নির্দেশনা অমান্য করলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এসব নির্দেশনা জারি করেছেন।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পারকি ও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে জনসাধারণ অবস্থান করতে পারবেন না। শুক্রবার নগরের বিভিন্ন রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও প্রকাশ্য স্থানে জমায়েত কিংবা কোনো ধরনের উৎসবও আয়োজন করা যাবে না।

এ ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে নাচ-গান করা যাবে না। কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো হলে সে ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উচ্চৈঃস্বরে গাড়িতে হর্ন বাজানো এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল চালাতেও নিষেধ করা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে— বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের বার এবং রাত ১০টা থেকে ফাস্ট ফুডের দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্থান ভাড়া দেওয়া যাবে না।

এ ছাড়া অনুমোদিত অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে এবং নারীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। আনন্দ উদযাপনের নামে সমাজ ও সংস্কৃতিতে শালীনতা বিবর্জিত কিছু করা যাবে না। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কিছু করা যাবে না। অনুমোদিত অনুষ্ঠানগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনাও অনুসরণ করতে হবে।

নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয় এতে। কোনো ঘটনা ও দুর্ঘটনার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ কিংবা সিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫ ও ০৩২০০৫৭৯৯৮ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধও করা হয়েছে।