ফোনালাপের মাধ্যমে উসকানির অভিযোগের মামলায় খসরুসহ দুজনের নামে অভিযোগপত্র

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ফোনালাপের মাধ্যমে উসকানির অভিযোগের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে তাদের নামে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুকুল হক।

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা দুটি করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩ / ৫৭(২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় এ মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মধ্যে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত ছাত্রদল নেতা মিলহানুর রহমান নাওমীর টেলিফোনে একটি কথোপকথন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমীর খসরুর কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, তিনি ওই কর্মীকে বলছেন ঢাকায় এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে। আমীর খসরুর উসকানির জেরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার কথার জেরেই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়। ওই মামলায় আমীর খসরু ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ডিসি ফারুকুল হক বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিলহানুর রহমান নাওমীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন। একই অভিযোগে তাদের নামে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।