সেন্টমার্টিন থেকে ফিরল পর্যটকরা

গত শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’–এর কারণে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেন। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন–কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন-চট্টগ্রাম—এই তিন নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ বন্দরের জেটি থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, কেয়ারি সিন্দাবাদ এমভি ফারহান ক্রস ও এমভি শহীদ সুকান্ত বাবু জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ৭৭৮ জন পর্যটক নিয়ে রওনা হয়।

বিকেলে ৪টার দিকে সেন্টমার্টিনের পৌঁছানোর পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে আটকাপড়া পর্যটকদের নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজগুলো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার হওয়ার পর গত শনিবার সেন্টমার্টিনের বেড়াতে গিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তা আটকা পড়া দেড় হাজার পর্যটক ফিরে আসতে পারবেন। মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী ৪টি জাহাজে করে ৭৭৮ জন পর্যটক দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। বিকেল ৪টার পরে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা এসব জাহাজে করে টেকনাফে উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, সতর্ক সংকেত প্রত্যাহারের পর সেন্টমার্টিনের সঙ্গে তিনটি নৌপথের জাহাজ চলাচলের আর কোনো বাধা নেই। রাত ৮টার দিকে সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা নিরাপদে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছেছেন। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।