যাত্রা শুরু করেছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট

কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে যাত্রা শুরু করেছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ নামের একটি উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট।

আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় টেবিলে বসে এখানে নানান স্বাদের খাবার খেতে পারবেন পর্যটকরা।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বের) সন্ধ্যায় সৈকত পাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে এ রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) মো. মুসলেম উদ্দিন, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান ও ফ্লাই ডাইনিং রেস্টুরেন্টের কর্ণধার নবাব ফয়েজ আবু বক্কর খান প্রমুখ।

উদ্বোধনীতে জানানো হয়, সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অত্যাধুনিক মেশিনের ক্রেনের সাহায্যে সৈকতের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬০ ফুট উঁচুতে এ রেস্টুরেন্টে থাকবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। এতে মেঘের রাজ্যে বসে আপ্যায়িত হওয়ার এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন পর্যটকরা। আধুনিক জগতের এমন ব্যতিক্রম আয়োজন পাল্টে দেবে কক্সবাজারের পর্যটনের আবহ। সৈকতের বালিয়াড়িতে সূচনা হয়েছে নতুন মাত্রার। দেশের প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতির এই ‘ফ্লাই ভাইনিং’ নির্মাণ করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘ইউর ট্রাভেলস লিমিটেড’। এখানে খাবার গ্রহণের সময় বাড়তি আনন্দ উপভোগ করবেন ভোক্তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল সি প্রিন্সেসের পাশের প্লটে দৃষ্টিনন্দনভাবে বসার পর্যাপ্ত স্থান রেখে চালু করা হয়েছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্টুরেন্ট ও কিচেন। রেস্টুরেন্টেরের পশ্চিম পাশের খালি স্থানে বসানো আসে একটি ক্রেন। একটি বিশেষ পাঠাতনে ২০ জন ধারণ ক্ষমতার চেয়ার, টেবিল ও ওপরে ছাতার মতো এক ধরনের ছাদ দিয়ে চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে। অ্যালোমেনিয়াম ও স্টিলের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ তার ক্রেনের মাথায় লাগিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে সেই পাঠাতনে মাঝখান ও চারপাশে। মাটিতে থাকা কিচেনে পছন্দ মতো খাবার অর্ডার করে তা যেকেউ চাইলে ‘উড়ন্ত পাঠাতনে’ পরিবেশন সুবিধা নিতে পারছেন।

আয়োজকরা জানান, ২০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্টুরেন্টটি মাটি থেকে সৈকতের আকাশে ১৬০ ফিট উপরে তুলে চতুর্দিক ঘুরতে ঘুরতে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করবে। এসময় আকাশ থেকে উপভোগ করা যাবে সৈকত ও আশপাশের দৃশ্যও। এতে জনপ্রতি খচর পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা (খাবারসহ)। পাঠাতনে উঠা, আকাশে উড্ডয়ন এবং অবস্থান ও নেমে আসার সময়সহ প্যাকেজের পরিধি এক থেকে দেড় ঘণ্টা। পরিবারসহ বিনোদন ও খাওয়ার ব্যবস্থাপনায় থাকছেন দেশের বিখ্যাত রন্ধন শিল্পী টনি খান।

উদ্বোধনী দিনে আকাশে উঠে খাবার উপভোগ করা ফরহাদ ইকবাল জানান, এ এক অন্যরকম অনুভূতি। পাঠাতনের চেয়ারে বিমানের মতোই লাগানো সিট বেল্টে প্রথমে নিজেকে আটকানো হয়। পরে আকাশে যাত্রার শুরুতে একটু ভীতি কাজ করলেও উপরে উঠার পর আনন্দে সব ভুলে যায়।

‌ওপর থেকে পুরো সৈকতের ঢেউ এবং কক্সবাজারের পাহাড়, আশপাশ এবং ভবনগুলো বিমোহিত দৃশ্যে ধরা দেয়। এটা পর্যটনে বিনোদনের জন্য নতুন সংযোজন-যোগ করেন তিনি।