প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহীম ও লিটন দাস

চট্টগ্রাম টেস্টের শুরু আর শেষটায় পার্থক্য স্পষ্ট। প্রথম সেশনটা ছিল পাকিস্তানের। সকালের আদ্রতা কাজে লাগিয়ে নতুন বলে পাকিস্তানি পেসারা নাভিশ্বাস তোলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটারদের। শুরুর ধাক্কা সামলে প্রথমে প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহীম ও লিটন দাস। পরে দু’জনে ছড়ি ঘুরিয়েছেন সফরকারী বোলারদের উপর। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫৩ রান। লিটন ১১৩ ও মুশফিক অপরাজিত রয়েছেন ৮২ রানে। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে গড়েছেন ২০৪ রানের জুটি।

বাদ পড়েন টি-টোয়েন্টি দল থেকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে অবশ্য অনুমিতভাবেই আছেন এই কিপার-ব্যাটার। লাল বলের ক্রিকেটে দুর্দান্ত ছন্দ ধরে রেখেছেন লিটন। তুলে ‍নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরেছিলেন ৯৪ রানে। গত জুলাইয়ে সবশেষ টেস্ট ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেন ৯৫ রান। সেই চট্টগ্রামে অপেক্ষা ফুরায় লিটনের। দেখা পান পরম আরাধ্য শতরানের।

টপ অর্ডার চার ব্যাটারের কেউই ছুঁতে পারেননি বিশের কোঠা, অধিনায়ক মুমিনুল হক তো ফিরেছেন ৬ রানে। তৃতীয় উইকেট হিসেবে দলীয় ৪৭ রানে কটবিহাইন্ড হন মুমিনুল হক। সাজিদ খানের করা ১৫তম ওভারের প্রথম বলে ঠিকমতো ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক। আলতো ছোঁয়ায় বল তালুবন্দি হয় উইকেটের পেছনে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানের। দলীয় সংগ্রহে আরও দুই রান যোগ করতে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। ৩৭ বল খেলে ১৪ রান করেন তিনি।
দলীয় ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাদমান। অষ্টম ওভারের শেষ বলে হাসান আলীর গতিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই টাইগার ওপেনার। রিভিউ নিয়েছিলেন, তাতেও লাভ হয়নি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে ৩ চার হাঁকিয়ে ১৪ রান করেন তিনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলিকে দুটি চার হাঁকিয়ে দারুণ শুরু করেছিলেন সাইফ হাসান। অবশ্য বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তিনি। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে শাহীন আফ্রিদির বাউন্সার সামলাতে পারেননি সাইফ, ব্যাটের হাতায় বল লেগে চলে যায় আবিদ আলীর হাতে। সাইফের সংগ্রহও ১৪।
পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নাকাল হওয়ার পর এবার টেস্ট মিশনে নামে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এ ম্যাচে দু’দলেরই একজন করে খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়েছে। বাংলাদেশের ইয়াসির আলী রাব্বি এবং পাকিস্তানের আব্দুল্লাহ শফিক।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহীম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ, এবাদত হোসেন ও সাইফ হাসান।
পাকিস্তান একাদশ: আব্দুল্লাহ শফিক, আবিদ আলী, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নোমান আলী, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সাজিদ খান।