পটিয়ায় বিএনপিতে নবীন-প্রবীনদের মনোনয়ন যুদ্ধ জমে উঠেছে

পটিয়ায় ত্রিধা বিভক্ত ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন নড়েছড়ে বসেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া সংসদীয় এলাকায় বিএনপির মনোনয়ন পেতে প্রায় অর্ধ ডজন নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। মাঠের রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও ভিতরে ভিতরে যার যার অনুসারীদের নিয়ে দল গোছাতে বেশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানাগেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ঠিকেটে মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে দলের নবীন প্রবীণ প্রায় অর্ধ ডজন নেতা। এর মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ সভপতি ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া, পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রবীন নেতা নুরুল আমিন এমএসসি, বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ, জেলা বিএনপির আরেক প্রভাবশালী সহ সভাপতি ও নগরীর চাক্তাই এলাকার ব্যবসায়ী নেতা এনামুল হক এনাম ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ। মনোনয়ন প্রত্যাশী এসব নেতা তাদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও দলের প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দ্বারস্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা কয়েকজন নেতা তাদের মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে তারেক জিয়ার দৃষ্টি লাভের জন্য লন্ডনেও পাড়ি জমিয়েছেন। বিগত দশ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে না থাকলেও মনোনয়ন লাভে এসব নেতৃবৃন্দ নিয়মিত ঘোড়দৌড়ে অবতীর্ণ হয়েছেন বলে জানান স্থানীয় বিএনপি অনেক নেতাকর্মী।
তবে এসব মামলা হামলার ভয়ে মাঠ পর্যায়ে দলীয় কর্মকান্ড না চালালেও ঘরোয়াভাবে দল গোছাতে গত এক বছর ধরেই কাজ চালিয়ে আসছেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেন। মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই মাঠে নামবেন এসব নেতা।
তবে মাঠ পর্যায়ে ত্রিমূখী কোন্দল জিইয়ে রেখে মনোনয়ন লাভ করার পরও বিএনপি নেতৃবৃন্দ হারানো আসন পূনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, দলে মনোনয়ন পেতে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে ব্যক্তি নয় প্রতীক বড়। দল যাকেই মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করবো। বেগম জিয়ার মুক্তি ও দলের বিজয়ই এখন সব চাইতে বড় কথা।

এর মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল সাবেক সাংসদ হিসেবে একটি কর্মীবাহিনী তৈরী করেছেন।

ইদ্রিস মিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান থাকার সুবাধে একটি অবস্থান নিয়ে আছেন।

প্রবীন নেতা নুরুল আমিন এমএসসি তিনবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এলাকায় সৎ, শিক্ষিত ও সাহসী নিবেদিতপ্রান মানুষ হিসেবে পরিচিত।