কেউ ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে কি না রিজভীর প্রশ্ন

চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর জনসংযোগে গুলির ঘটনার এক মাস পর ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এমন ঘটনা বারবার ঘটায় অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘(১২ ডিসেম্বর) শুক্রবার মর্মান্তিক ও মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে। হাদিকে গুলি করা হয়েছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার তো নিরপেক্ষ। তাদের সময়ে এতো সন্ত্রাসী কী করে বাড়লো, কোথা থেকে তারা রাজত্ব করছে। এখন তো সবার শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার কথা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াবহ বিভীষিকা পেরিয়ে সবাই যে অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থন দিলো, তারা কেন ব্যর্থ হলো। চট্টগ্রামের ঘটনার পরও সরকার কেন সতর্ক হলো না। কেউ ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে কি না, সে প্রশ্ন এখন সামনে আসছে।’

হাদির ওপর হামলার পরপর একটি রাজনৈতিক দল বিএনপিকে লক্ষ্য করে নানা কথা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘নানা ঘটনায় কৌতূহল হচ্ছে, কোনো মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না এটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে।’

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মনে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটিকে মাথায় রেখে সহনশীল বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতি আমরা চালাচ্ছি। কিন্তু তার বিপরীতে ভিন্ন রাজনীতি দেখতে পাচ্ছি। যা মবোক্রেসি, অন্যকে ছোটো করা এবং যেকোনো পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করা। দেশের মানুষ এই রাজনীতি দেখতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র তখনই কাজ করে যখন অর্থনীতির সুফল প্রতিটি মানুষ পাবে। নাহলে ভাষণ আর নির্বাচনেই সীমাবদ্ধ থাকবে গণতন্ত্র।’

১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দুপুরে বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে করে এসে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।