ঘরের আগুনে পুড়ছে (চট্টগ্রাম)-৮ আসনের বিএনপি : নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এম মোরশেদ খানের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ আসনে মোরশেদ খানের প্রার্থীতা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।

বোয়ালখালী- চান্দগাঁও আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রƒীয় ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান মনোনয়ন পাওয়ার খবরে এই আসনের বিএনপি নেতৃবৃন্দ রবিবার রবিবার বিকালে নগরীর একটি রেস্টেুরেন্টে তাৎক্ষণিক এক জরুরী সভায় মিলিত হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য অগ্নিপরীক্ষা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনে নির্বাচন করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।

আবু সুফিয়ান মনোনয়ন পাবেন এই আশায় সাধারণ জনগণ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। তারা আশায় বুক বাঁধেন একজন তৃণমূলের কর্মীবান্ধব যোগ্য ও ত্যাগী নেতা মনোনয়ন পাচ্ছেন। যিনি বিএনপির কঠিন দু:সময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। তিনি মামলা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, এম মোরশেদ খানকে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। এই খবরে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এম মোরশেদ খান গত ১০ বছরে একদিনের জন্যও এলাকায় আসেননি। দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা হামলার ব্যাপারে কোন খোজ খবর নেননি। আন্দোলন সংগ্রামে তার কোন ভূমিকা ছিল না। নির্বাচন করার মত বয়স ও শারীরিক যোগ্যতাও তার নেই। আগামী নির্বাচন আগের মত এত সহজ হবে না। ঘরে বসে নির্বাচন করার দিন শেষ হয়ে গেছে। দলের হাইকমান্ড ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে যারা মাঠে থাকে না তাদেরকে মনোনয়ন দিলে ভবিষ্যতে নেতাকর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না।

নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম-৮ আসনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারকদের প্রতি জোর দাবী জানান। অন্যথায় গণ পদত্যাগসহ ও অন্যান্য কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম মঞ্জু, সহ-সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বখতেয়ার,

বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, মোহরা ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম হিরামন, পূর্ব ষোলশহর ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মো. হাসান লিটন, পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু ।