পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের

জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে নগরে পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটে বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল।

চলছে না পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানও।
পরিবহন চালকরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ানোর ফলে বিদ্যমান ভাড়ায় তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। আর মালিকরা বলছেন, ভর্তুকি দিয়ে তারা গাড়ি চালাতে দেবেন না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মো. মুছা বলেন, এটা আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগর, উত্তর, দক্ষিণ সব এলাকার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন ভাড়া বাড়বে। যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ুক-এটা আমরা চাই না।

এদিকে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক সমিতিও কর্মবিরতি পালন করছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর এবং ১৯টি আইসিডি থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, তেলের দাম বাড়ানো হলেও আমাদের পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়নি। খরচ বাড়ছে, তার সঙ্গে যদি ভাড়া সমন্বয় করা না হয় তাহলে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ প্রাইভেটকার, টেম্পু, সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

নগরের মুরাদপুর, অক্সিজেন, টাইগারপাস, নিউমার্কেট, বহদ্দারহাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও কালুরঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার বন্ধের দিনেও বিভিন্ন কারখানা ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় কর্মজীবী মানুষ মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউবা বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা থাকায় নগর থেকে হাটহাজারী সড়কে কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।

আগ্রাবাদের বাসিন্দা মেরাজুল হক বলেন, জরুরি কাজে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গণপরিবহন না পেয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। রিকশা নিয়ে পথের দূরত্ব কমাতে হচ্ছে। এভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না।