পুতিন-এরদোয়ান বৈঠকে ‘এস-৪০০’ চুক্তি বাস্তবায়নের আগ্রগতি

তুরস্কের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো সফররত তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে ইতোমধ্যেই এ নিয়ে আলোচনাও করে ফেলেছেন পুতিন। একইসঙ্গে আঙ্কারায় মস্কোর ‘এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র’ সরবরাহ চুক্তি বাস্তবায়নেও আলোচনা করেন তারা। ২০১৯ সালের মধ্যেই এ চুক্তি বাস্তবায়নের আশা তাদের।

সোমবার (০৮ এপ্রিল) ক্রেমলিনে এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের দুই দেশ বা উভয়পক্ষকে একে অপরের সামরিক-প্রযুক্তিগত কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।

এসময়ই দুই প্রেসিডেন্ট তুরস্কে রাশিয়ার উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র (এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা) বেচাকেনার বিষয়ে আলোচনা করেন। রাশিয়া থেকে এই অস্ত্র কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারির বিষয়টিও উঠে আসে পুতিন-এরদোয়ানের আলোচনায়।

পুতিন বলেন, তুরস্কের সঙ্গে এস-৪০০ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চুক্তি পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করা আমাদের প্রথম বিবেচনার বিষয়।

তিনি এও বলেন, আগে তুরস্কে এস-৪০০ সরবরাহ। এরপরে তুরস্কের সঙ্গে অন্যান্য প্রুতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে।ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, ছবি: সংগৃহীত
ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ২০১৯ সালের মধ্যে তুরস্কে হস্তান্তর করবে রাশিয়া। তুরস্কও এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও রাশিয়ার এই অস্ত্র কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাপ আসছে তুরস্কের ওপরে।

যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিজেদের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য বড় হুমকি। তাই তারা বলছে, তুরস্ক যদি রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনে, তাহলে তাদের (তুরস্ক) সঙ্গে করা আমাদের যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ চুক্তি বাতিল হয়ে যেতে পারে।

১৯৯৯ সালে ১০০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করেছিল তুরস্ক। এর মধ্যে মাত্র একটি যুদ্ধবিমান তুরস্কে সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।