নিউইয়র্কে পালিত হলো ঈদে মীলাদুন্নবী

নবী মোহাম্মদের (সা) ১,৪৫১ তম (৫৭০-২০২১) জন্মোৎসব মহান ঈদে মীলাদুন্নবী-২০২১ বিশ্বের সবগুলো মুসলিম দেশ ও পরিবেশের মত নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকায় খুবই ধুমধামের সহিত উদযাপিত হয়েছে। উত্তর আমেরিকায় ঈদে মীলাদুন্নবী পালনে এবারের আমেজ ও উৎসাহ ছিল ভিন্ন। ১২ই রবীউল আউয়ালের পবিত্র দিনটি ছিল সোমবার। তাই নবীজীর নিয়মিত আমলের সাথে একাত্ম হয়ে অনেক আশেকান উৎসব মুখর পরিবেশে রোজা রেখেই পালন করেছেন প্রাণের উৎসব ঈদে মীলাদুন্নবী। পুরো রবীউল আউয়াল মাস ব্যাপীই চলবে এই মহা সমারোহ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯শে অক্টোবর, ‘২১ মঙ্গলবার বাদ মাগরিব ইউএস জাকের পার্টি তাঁদের বাৎসরিক ঈদে মীলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন জামাইকার জাকের সারওয়ার ভাইর বাড়িতে। জ্যাকসনহাইটস মোহাম্মদী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইমাম কাজী কায়্যূম এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন এবং ঈদে মীলাদুন্নবীর উদযাপনের প্রয়োজনীতা ও এর উপর সারগর্ভ আলোচনা পেশ করেন। উল্লেখ্য, মোহাম্মদী সেন্টার নিউইয়র্কের মিনি বাংলাদেশ জ্যাকসনহাইটসে ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপনের অগ্রদূত হিসেবে আজ থেকে ১০ বছর আগে ২০১১ সনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, আরব-আফ্রিকার মুসলমান, স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার ডি ড্রম, এ্যসেম্বলি মেম্বার ফ্রান্সিসকো মোইয়া, সিনেটর হোজে প্যারাল্টা, কুইন্স সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থমাস রাফায়েল সহ অনেকেই ঐতিহাসিক ঐ ঈদে মীলাদুন্নবীতে অংশগ্রণ করেন। পরে প্রতি বৎসর বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে জ্যাকসনহাইটসে ঈদে মীলাদুন্নবী পালিত হয়ে আসছে। মোহাম্মদী সেন্টার ২০১২ সনে ১২ই রবীউল আউয়ালের ঈদে মীলাদুন্নবীর ইংরেজী তারিখে, যা  ৫৭০ সনের এপ্রিল মাসের শেষ সোমবার ছিল, সাব্যস্ত করে ঐদিন ফেডারেল হলিডে চেয়ে ঈদে মীলাদুন্নবীর ক্যাম্পেইন শুরু করেন, যা এখনো চলমান এবং প্রক্রিয়াধীন, ইনশাল্লাহ একদিন আমাদের এই দাবী পূরণ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে ও কম্যিউনিটির উন্নয়নে মোহাম্মদী সেন্টার ‘এন্টাই টেরোরিজম এওয়্যারনেস ইউনিট’, আন্তধর্মীয় সংযোগ ও নিউইয়র্ক ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করে। কম্যিউনিটিকে সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সেবা প্রদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৫ সনের ১২ই আগষ্ট মোহাম্মদী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম কাজী কায়্যূমকে জাতিসংঘের USFMEP হাই লেভেল প্যানাল ডিসকাশনে কীনোট স্পীকার ব্যক্তার সম্মাননা প্রদান করে আমন্ত্রণ জানায়। করোনার ভয়াবহতায় যখন নিউইয়র্কের মসজিদ সমূহ বন্ধ ছিল, মোহাম্মদী সেন্টার সেই সময় এফবি লাইভস্ট্রিম প্রযুক্তিতে মোহাম্মদী সেন্টার থেকে ভার্চ্যুয়াল জুমুআ ও তারাবীর নামাজের ব্যবস্হা করে।