বৃষ্টির সময় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নগরের বিভিন্ন সড়কের পাশে খোলা নালা ও খালে পড়ে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করা হয় এবং এজন্য দায়ী কে- তা তদন্ত করে প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনা পেয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গত ২ অক্টোবর সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে সিএমপি কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, সিডিএ’র সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এবং চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে সদস্য করা হয়েছে।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এই কমিটি বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বৈঠক করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে রোববার (১০ অক্টোবর) তদন্ত কমিটি গঠন ও বৈঠক সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সিডিএ’র কাছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদ মাজার গেইট এলাকায় ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে মৃত্যু হয় আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার (১৯)। এর আগে ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় নালায় পা পিছলে পড়ে ডুবে যান সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। গত ৩০ জুন মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে অটোরিকশা পড়ে গেলে চালক ও এক যাত্রী মৃত্যুবরণ করেন। এসব ঘটনার পর ঘটনাস্থলে রশি টেনে বা বাঁশ দিয়ে সাময়িক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ‘অবহেলার দায় নিতে চায় না কেউ’ শিরোনামে বাংলানিউজে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত