সিডিএ চেয়ারম্যান পদ থেকে বাদ পড়লেন আবদুচ ছালাম

আজ বুধবার এম জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিনকে সিডিএ চেয়ারম্যান নিযুক্ত সংক্রান্ত আদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষর করেছেন যার মাধ্যমে সিডিএর চেয়ারম্যান পদ থেকে বাদ পড়লেন এম এ ছালাম। ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো সিডিএর চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন আবদুচ ছালামের।

তিনিই ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়া প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তি। ব্যবসায়ী ছালাম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে আছেন তিনি।

আবদুচ ছালামের মেয়াদেই সিডিএ’র তত্ত্বাবধানে নগরীতে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সময় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সিডিএ চেয়ারম্যান।

তার দশ বছর মেয়াদে বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভার, মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, সমুদ্র উপকূল ঘেষে রিং রোডসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দও হয় তার প্রস্তাবে। এছাড়া লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, বিশ্বমানের পতেঙ্গা সি-বিচ প্রকল্প পান তিনি। নগরের রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ করেও তিনি আলোচনায় আসেন।

২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে আবদুচ ছালামের পুনর্নিয়োগ ও পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষাপটে ছালামের নিয়োগ, পুনর্নিয়োগ ও সর্বশেষ দেওয়া নিয়োগের ভিত্তিতে পদে থাকা ও কার্যক্রম পরিচালনা কেন আইনি কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না- তা জানতে চেয়ে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

১৯৬৯ সালের সিডিএ অধ্যাদেশ অনুসারে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের পর একবার পুনর্নিয়োগের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আবদুচ ছালামকে চারবার পুনর্নিয়োগ দেওয়ায় এক ব্যক্তি ওই রিট আবেদন করেছিলেন।এরপর ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল পঞ্চমবারের মতো দুই বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ পেয়েছিলেন আবদুচ ছালাম।