উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি-জীববৈচিত্র্য-কৃষিজমি ধ্বংসকারী প্রকল্প থেকে সরে আসুন

ফুলবাড়ি দিবসে সরকারের প্রতি তেল-গ্যাস বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের আহবান

উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি-জীববৈচিত্র্য-কৃষিজমি ধ্বংসকারী প্রকল্প থেকে সরকারকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় স্বার্থে তেল-গ্যাস বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ।আজ ‘ফুলবাড়ি দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে এ হবান রাখেন। উল্লেখ্য,২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট দিনাজপুরেরর ফুলবাড়িতে উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনে এশিয়া এনার্জির সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবিতে গণঅভ্যুত্থান সংঘঠিত হয়।পুলিশের গুলিতে সালেকীন,আমিনুল,তরিকুল শহীদ হন।সেই দিনটিকে জাতীয় কমিটি প্রতি বছর ফুলবাড়ি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

আজ ‘ফুলবাড়ি দিবস’ -এ ‘জাতীয় স্বার্থে তেল-গ্যাস- বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’ চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে ফুলবাড়ির শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সিপিবি বিভাগীয় সমন্বয়ক শ্রমিক নেতা মৃণাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড অশোক সাহা,গণমুক্তি ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারূফ রুমি,সাম্যবাদী আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক অপু দাশ গুপ্ত,বাসদ(মার্কসবাদী) জেলা সদস্যসচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদ,বাসদ জেলা সদস্য মহিন উদ্দিন,সিপিবি নেতা অমৃত বড়ুয়া,রাহাতউল্লাহ জাহিদ,গণসংহতি আন্দোলন জেলা নেতা নাসির জোশি,ফরহাদ জামান জনি,বাসদ নেতা রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,”ফুলবাড়ি অভ্যুত্থানের ১৫ বছর পরও,এখনও রক্তে লেখা ফুলবাড়ি চুক্তি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার বাস্তবায়ন করেনি।যদিও তৎকালীনন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন। উন্নয়নের নামে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের স্বার্থে সরকার একের পর এক প্রাণ-প্রকৃতি-জীববৈচিত্র্য-কৃষিজমি ধ্বংসকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ সত্ত্বেও সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সরকার গায়ের জোরে অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ চট্টগ্রামের ফুসফুস সিআরবির প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।জনগণের অব্যাহত প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার এখনও এ বিধ্বংসী প্রকল্প থেকে সরে আসেনি।এ পরিস্থিতিতে জনগণের সম্পদ রক্ষার্থে তেল গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ আন্দোলনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।ফুলবাড়ির অভ্যুত্থান থেকে আমাদের সেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।“