দিনে অনুসন্ধান, রাতে চুরি

একসময় তারা ছিল রেল স্টেশনের কুলি। পাশাপাশি নেশার টাকা জোগাড় করতে যাত্রীদের মোবাইল চুরি করতো। কিশোর সেই ছেলেরা বয়স বাড়তেই এখন চুরি-ডাকাতি বিদ্যায় রপ্ত করেছে সব কৌশল।

সদরঘাট থানা পুলিশ বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ সদস্যকে অস্ত্র ও ছুরিসহ গ্রেফতার করেছে।

তারা হলো- মো. বাদশা (১৮), মো. রাসেল (১৯), মো. নুর উদ্দিন (২০), মো. জাকির হোসেন (১৯) ও মো. সোহেল (২০)।

থানা সূত্রে জানা যায়, দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অনুসন্ধান শেষে গভীর রাতে চুরি-ডাকাতি করে আসছে তারা। পাইপলাইন বেয়ে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে পড়তে তারা সিদ্ধহস্ত। আবার কখনো দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙ্গে লাঠির সাহায্যে ভেতরের মোবাইল, মানিব্যাগ, ল্যাপটপ মুহূর্তেই হাতের নাগালে নিয়ে আসতে পারে তারা।

অভিযানে যাওয়া এসআই মো. রেজোয়ানুল ইসলাম ও এসআই মো. মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, চক্রটির সদস্যরা রাত ১টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত এ প্রক্রিয়ায় চুরি করতো। দিনে নেশা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্রশস্ত্র সহ সিএনজি টেক্সী নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়ায়। ৫-৭ জনের গ্রুপের কেউ চুরির জন্য কোনও ভবনে ঢুকলে, বাইরে কয়েকজন পাহারায় থাকে।

পশ্চিম মাদারবাড়ি বালুর মাঠ এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদের পেছনে তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসময় উদ্ধার করা হয় ১টি একনলা বন্দুক, ৩টি কার্তুজ, ২টি চাপাতি, ১টি ছুরি, স্লাইড রেঞ্জ, কাটার ও স্ক্রু ড্রাইভার।

সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। তারা এ পর্যন্ত ২শ-আড়াইশ বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি করেছে। এর আগে কয়েকবার তারা গ্রেফতার হলেও গডফাদাররা তাদের জামিনে বের করে নিয়ে আসে।

আসামিদের বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি