চউককে চসিক মেয়রের অনুরোধ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর দক্ষিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা ও দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বিরাট অংশকে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতামুক্ত ও নগারিক দূর্ভোগ লাঘবে মাইট্ট্যালার খালের প্রবেশ মুখ গার্ডার ওয়াল নির্মান করতে গিয়ে স্থাপিত ব্লক সরিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য সিডিএ কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আজ সোমবার বিকেলে স্টিল মিল বাজার সংলগ্ন ব্যাব-৭ এর কার্যালয়ের সম্মুখস্থলে চসিক পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা কর্তৃক বিভিন্ন বড় নালা-নর্দমা থেকে এক্সেভেলেটরের মাধ্যমে মাটি ও বর্জ্য সরানো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি ইতোপূর্বে তাঁকে র্যাব-৭ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দেয়া পত্রে ভাষ্য উল্লেখ করে বলেন, এই তিনটি ওয়ার্ডে ইপিজেড, নৌ-বাহিনী আবাসিক এলাকা, স্টীল মিল বাজার সংলগ্ন স্থানে র্যাব-৭ এর মলূ কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি কল-কারখানা, তৈরী পোষাক শিল্প ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এখানকার পানি প্রবাহের প্রধন পথ মাইট্ট্যালার খাল। এই তিনটি ওয়ার্ডের সকল নালা-নর্দমার পানি এই খালে গিয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে খালের প্রবেশ মুখে চউক কর্তৃপক্ষ গার্ডার ওয়াল নির্মান করতে গিয়ে বালি ও কংক্রিট ভর্তি বস্তা ফেলে ব্লক তৈরী করে। এর ফলে তিনটি ওয়ার্ডের সমস্ত নালা-নর্দমার পানি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। একারণে বিরাট এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে এবং এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র আরো বলেন, মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীর গতিতে চলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়া দু’এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। বৃহত্তর স্বার্থে সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নেয়া যায় কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতা জনিত সমস্যায় নাগরিক ভোগান্তি সহ্য সীমা ছাড়িয়ে যেতে বাধ্য। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় সীমা যতই বাড়ুক না কেন পানি প্রবাহ পথ ব্লক করে দেয়া যায় না এবং এটাই বাস্তবতা । এই জন্য তিনি সিডিএকে অনুরোধ জানান যে, মাইট্ট্যালার খাল সহ যে সমস্ত খালে এধরণের ব্লক বা বাঁধ দেয়া হয়েছে সে-সব স্থানে পানি চলাচলের জন্য বিকল্প পথ তৈরী বা বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হউক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন -ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, আবদুল বারেক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।











