বাধ ধসে পড়েছে, পশ্চিম ডাবুয়া সর্তার খালের বাধ হুমকির মুখে

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের শ্রোতে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে খালের ভাঙ্গনরোধে নির্মান করা বাধ ধসে পড়েছে, পশ্চিম ডাবুয়া এলাকায় সর্তার খালের ভাঙ্গন রোধে নির্মান করা বাধ হুমকির মুখে পড়েছে । রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সর্তার খালের ভাঙ্গন থেকে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে জনগনের চলাচলের সড়ক রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১২ লাখ টাকা ব্যায়ে বালু ও সিমেন্ট মিশ্রিত করে বস্তায় ভর্তি বাধ নির্মান করা হয় । চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন রক্ষায় ভাঙ্গন কবলিত সর্তা খালের অপরপাশে জেগে উঠা চরের মাটি কেটে খালের গতি পরিবর্তন করা হয় । গত কয়েকদিনের বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানিতে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এর সামনের সর্তা খালের ভাঙ্গনরোধে নির্মান করা বাধ ধসে পড়েছে । এতে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও ভবনের সামনে জনগনের চলাচলের সড়ক সহ এলাকার বাসিন্দ্বাদের ঘরবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে । অপরদিকে রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া এলাকায় সর্তা খালের ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মান করা বাধ ও ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিয়াছে । পশ্চিম ডাবুয়া এলাকায় গত কয়েক বৎসর ধরে বর্ষার মৌসুমে সর্তা খালের বেড়িবাধ ভেঙ্গে ডাবুয়ার গনির ঘাট সড়ক, আকবর শাহ সড়ক, চিকদাইর পাঠান পাড়া সড়ক, ডাবুয়া ও চিকদাইর, রাউজান পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ক্ষেত্রপাল সড়ক, সন্দ্বীপ পাড়া সড়ক, চিকদাইর সাহেব বাড়ী সড়ক, ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় । ্এছাড়া ও এলাকার অর্ধ শতাধিক মানুষের ঘর বাড়ী বিধস্ত হয় । সর্তার খালের ভাঙ্গন রোধে পশ্চিম ডাবুয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বাধ নির্মান করলে ও পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানিতে নির্মান করা বাধের একাংশ দিয়ে বাধের ভেতর দিয়ে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে এলাকার লোকজন জানান । সর্তা খালের ভাঙ্গন রোধে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে সর্তা খালের মধ্যে নির্মান করা বাধের একাংশ ধসে গেছে । সর্তার খালের ভাঙ্গনে রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা ও দক্ষিন সর্তা থেকে কালচান্দ চৌধুরী বাজার পর্যন্ত জনগনের চলাচলের সড়কটি খালে বিলিন হয়ে গেছে । কালচান্দ চৌধুরী হাট থেকে সর্তার খালের পাড় দিয়ে যাওয়া কালচান্দ চৌধুরী বাজার থেকে পশ্চিম গহিরা ইছাপুর সড়ক পর্যন্ত সড়কের অধিকাংশ সর্তার খালে বিলিন হয়ে পড়েছে । রাউজানের গহিরা দলই নগর, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর, নতুন হাট, ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া গনীর ঘাট, পশ্চিম ডাবুয়া, পশ্চিম ডাবুয়া সেনবাড়ী, হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা, গর্জনিয়া, হলদিয়া বড়ুয়া পাড়া, এলাকায় সর্তার খালের ভাঙ্গনে হলদিয়া ভিলেজ রোড সহ এলাকার শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ী খালে বিলিন হয়ে গেছে । সরেজমিনে পরিদর্শন কালে জানা গেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা এলাকায় সর্তা খাল এর পাড়ের মাটি এসকেভেটার দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাকে করে বিক্রয় করে হলদিয়ার বালু খোকো এক প্রভাবশালী নেতা। হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা, হলদিয়া বড়ুয়া পাড়া বইজ্যার হাট, হচ্ছার ঘাট এলাকায় সর্তা খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় সর্তার খালের ভাঙ্গন বৃদ্বি পেয়েছে বলে এলাক্রা বাসিন্দ্বারা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান । রাউজানের চিকদাইর, গহিরা, নোয়াজিশপুর, পশ্চিম ডাবুয়া, হলদিয়া ইউনিয়নে প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি সর্তার খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বাসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, সর্তার খালের তীরের মাটি ও খালের মধ্যে জেগে উঠা চরের মাটি এসকেভেটার দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাক যোগে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি ভরাট, পুকুর জলাশয় ভরাট করে । সর্তার খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মাটি কেটে বালু ও মাটি বিক্রয় করে গুটি কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বিপুল অর্থ বিত্তের মালিক হলে ও প্রতি বৎসর বর্ষার মৌসুমে সর্তার খালের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবেশ করে জনগনের চলাচলের সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় । ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো পুনঃ নির্মান কাজ করতে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। এছাড়া ও এলাকার মানুষের বসতবাড়ী, ফসলী খালে বিলিন হয়ে পড়েছে । সর্তার খালের ভাঙ্গনে অনেক পরিবার তাদের বাপদাদার বসতভিটা বাড়ীঘর হারিয়ে অন্য জায়গায় জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ী নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে । সর্তার খালের ভাঙ্গনে বসতভিটা ও বাড়ীঘর হারানো অনেক পরিবার রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ও চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া বাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে । বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ায় বৃষ্টি হলে ও পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হলে সর্তার খালের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দ্বাদের মধ্যে আতংক নেমে আসে কোন সময়ে সর্তার খালের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে পাহাড়ী ঢলের ম্রোতের পানিতে এলাকার বাসিন্দ্বাদের বসতবাড়ী খালে বিলিন হয়ে যায় । রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী বলেন, চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সর্তা খালের ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাধ নির্মান কাজ করে। বাধ নির্মানের কাজ এখনো শেষ হয়নি । নির্মান করা বাধের পাশে খালের ভাঙ্গন রোধে আরো বাধ নির্মান কাজ করেনি ঠিকাদার। গত ২ জুলাই শুক্রবার বষর্ন হলে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানিতে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার কিছু অংশ ভেঙ্গে খালে বিলিন হয়ে গেছে । ঠিকাদারকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়েছে । খালের ভাঙ্গনরোধে অবশিষ্ট বাধ নির্মান কাজ করার জন্য ।