ওমানে ব্রেইন স্টোক করে প্রবাসীর মৃত্যু !

ওমান প্রতিনিধি::
ওমানের ইবরিতে নিজ বাসায় বেইন স্টোক করে মো.আমির হোসেন(৩৮)নামের এক বাংলাদেশী ওমান প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

ওমানের ইবরি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

জানা যায়, আমির হোসেন গত দীর্ঘ চার বছর পূর্বে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে আসেন। তিনি ওমানের ইবরি এলাকার সানাইনা নামক স্থানে একটি বাগানে কাজে করতেন। ঘটনার দিন রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার শেষ করে নিজ বিছানায ঘুমাতে যান আমির হোসেন। পরদিন সকালে যথা সময়ে ঘুম থেকে না উঠায় একই রুমের চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার ছোটকমলদহ এলাকার ওমান প্রবানী বদিউল আলম তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতে গিয়ে দেখেন আমির হোসেন চোঁখ মেলে তাকিয়ে থাকলেও শুয়া থেকে উঠতে পারছেন না। কাছে যেতেই আমির হোসেন এক হাত দিয়ে রুমমেট বদিউল আলমের একটি হাত ধরে অস্পষ্ট ভাষায় তাকে বাঁচানোর আকুতি জানান। পরে তিনি আশপাশের অন্যান্যদের সহযোগিতায় অসুস্থ আমির হোসেন কে দ্রুত ইবরি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জরুরী বিভাগে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেই মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে যান বেইন স্টোক করা আমির হোসেন। নিহত আমির হোসেন বাংলাদেশের ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার সলিমাবাদ ইউনিয়নের মুন্সি বাড়ীর মো.আবদুল বাতেনের পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি বৃদ্ধ মা-বাবা, ১২ বছর বয়সী এক কন্যা ও ৯ বছর এবং ৪ বছর বয়সী ২ পুত্র সন্তান সহ মোট তিন সন্তান রেখে যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেইন স্টোক করে মৃত্যু হওয়া আমির হোসেনের লাশ ভিসা জটিলতা ও অর্থের অভাবে বর্তমানে দেশে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। চির দিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে যাওয়া বাবার চেহারাটা শেষ বারের মতো এক নজর দেখা সম্ভব হবে কিনা তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অসহায় তিন সন্তানের।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিহতের ভাতিজা আবদুর রহমান জানান, লাশ দেশে নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। তবে লাশটি দেশে নেয়া সম্ভব হবে কিনা বা কবে নেয়া সম্ভব হবে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যাচ্ছে না।