নগরীর চকবাজারস্থ একটি বেসরকারি স্কুল, প্যারেন্টস্ কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি’র বৈঠকে শুক্রবার শিক্ষক মিলনায়তনে হাতাহাতির ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দু’পক্ষের।
ঘটনার পর পর প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পাতায় দেয়া এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয় , স্কুল এবং বোয়ালখালীতে স্কুলের নিজস্ব এক একর এক গন্ডা জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করার চেষ্টা করছেন সোলাইমান আলম শেঠ । জায়গাটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি গন্ডা দশ লাখ টাকা। অথচ সোলাইমান শেঠ জোরপূর্বক সেই জায়গা প্রতি গন্ডা মাত্র চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছে। এতে রাজি না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসত্য বানোয়াট অভিযোগ করছে সোলাইমান শেঠ।
এই বিষয়ে জানতে সোলাইমান আলম শেঠে্র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাবা স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া দীর্ঘ দিন নাম মাত্র ভাড়ায় আমার ভবনে স্কুলের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হয় ।
বর্তমান চেয়ারম্যান কোন ধরনের আলাপ আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অভিযোগ করে শেঠ আরো বলেন, আয় ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের পাশা-পাশি মহিলা শিক্ষকদের হেনেস্থা করা হচ্ছে বিভিন্ন সময় ।
এদিকে, এই সব বিষয়ে প্যারেন্টস্ কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডা. এম ফজল শেঠের সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, গতকাল প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মিলনায়তনে অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর জহরলাল ভট্টাচার্য এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি দুই কর্মকর্তার সামনে অতর্কিত হামলা করেন সোলাইমান শেঠ ও তার বাহিনী৷
এ সময় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা.আব্দুল করিম তাকে নিবৃত্ত করতে গেলে তিনি তাকেও বাজে গালি গালাজ করেন। এমনকি জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এসব কর্মকাণ্ড মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে একজন শিক্ষককে মারধর করে তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয় এবং ব্রাশ ফায়ার করে মারার হুমকিও দেয় বলেও জানান এম ফজল।