ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেল কুরাসাও

দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও’র নাম হয়তো অনেকের কাছেই অপরিচিত। কেউ হয়তো এই দ্বীপদেশটির নাম প্রথমবারের মতো শুনছে, সেই কুরাসাও এবার বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। কনক্যাকাফ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেই বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে মাত্র দেড় লাখ জনসংখ্যার দেশটি। এদিকে কনক্যাকাফ অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে হাইতি ও পানামাও।

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়ে একটি রেকর্ডে নাম লেখাল কুরাসাও। সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে এর আগে আইসল্যান্ড খেলেছিল বিশ্বকাপ। এখন কুরাসাও সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ খেলবে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকালে জ্যামাইকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে কুরাসাও। তাতে অপরাজিত থেকে বাছাইপর্ব শেষ করল তারা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন তারা আছে ৮২ নম্বরে।

এদিকে ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেল হাইতি। ‘সি’ গ্রুপে নিকারাগুয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৫২ বছর পর বিশ্ব মঞ্চে জায়গা করে নিল তারা। এর আগে একবারই বিশ্বকাপে খেলেছিল দলটি, তা ১৯৭৪ সালে।

হাইতির বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়াও এক চমকপ্রদ কথা। কারণ, সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলগুলোর সংঘর্ষের কারণে তারা বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো নিজ দেশে খেলতে পারেনি। তাদের হোম ম্যাচগুলো খেলতে হয়েছে কুরাসাওয়ে। এছাড়াও, দেশটিতে দুর্ভিক্ষ চলছে।

এদিকে বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে এল সালভাদরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ২০১৮ সালের পর আবারও বিশ্বকাপের টিকিট পেল পানামা। আর গুয়াতেমালার কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় সুরিনাম। যার ফলে সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়া হলো না তাদের।

তবে সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে না পারলেও জ্যামাইকা ও সুরিনামের আশা শেষ হয়ে যায়নি। আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে দেশ দুটি।