সন্ত্রাসী তালিকায় বক্কর ও মুরাদের নাম দেওয়ায় যুবদলের তীব্র নিন্দা

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর ও নগর যুবদলের সহ-সভাপতি হাসান মুরাদের নাম সিএমপি’র সন্ত্রাসী তালিকায় দেওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। সিএমপি কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত সন্ত্রাসী তালিকায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর ও নগর যুবদলের সহ-সভাপতি হাসান মুরাদের নাম দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি এবং জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ। নেতৃদ্বয় এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সারাদেশ যখন বৈশ্বিক মহামারী করোনার ভয়াল থাবায় বির্পযস্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগ তখন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার ফন্দি -ফিকিরে ব্যস্ত। মহানগর বিএনপির আবুল হাশেম বক্কর রাতা-রাতি বিএনপি নেতা হননি। বীর চট্টলার রাজপথ ই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। যুবদলের রাজনীতি দিয়ে শুরু করে ওয়ার্ড, থানায় নেতৃত্ব দিয়ে একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তিতে নগর যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে। যুবনেতা থেকে নিজের সাংগঠনিক রাজনীতির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব ও পালন করেন বক্কর। সাবেক কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর রাজপথ থেকে উঠে আসা জাতীয়তাবাদী আদর্শের উজ্জ্বল নক্ষত্র। নেতৃদ্ধয় বলেন, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি হাসান মুরাদ ৪০ নং ওয়ার্ডের কৃতী সংন্তান। ইউনিট যুবদলের রাজনীতি থেকে হাটি-হাটি পায়ে রাজপথের অগ্নিপরীক্ষায় যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই আজ মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সিএমপি সন্ত্রাসী তালিকা প্রণয়নের নামে কৌশলে চট্টগ্রাম বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম দূর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আবুল হাসেম বক্কর একজন রাজনীতিবিদ, হাসান মুরাদ যুবনেতা। গায়েবী মামলার জালে নগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে অসংখ্য রাজনৈতিক মামলা। রাজনৈতিক মামলার আসামী আর সন্ত্রাসী এক নয়। সন্ত্রাসী কারা অতীত লিস্ট ঘাটলেই বের হয়ে আসবে। আওয়ামীলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আড়াল করতেই বিএনপি দমনের নামে আজ এক মরনখেলায় মেতে উঠেছে পুলিশ প্রশাসনের একদল সুবিধা ভোগী। রাজপথে মোকাবেলায় অক্ষম আওয়ামী লীগ গায়েবী মামলা, গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেও আজ তাদের কপালে চিন্তার ভাজ। বিদেশী প্রভুর দয়ায় দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে । বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শের এই দলে কোন সন্ত্রাসীর জায়গা নেই । বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে আছে এক ঝাক জাতীয়তাবাদী আদর্শের বীর পুরুষ, দেশ প্রেমিক জিয়ার সৈনিক। সন্ত্রাসী কারা লালন করে, কারা সাজা প্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের সাজা মওকুফ করে দেশবাসী অবগত আছেন। ক্ষমতালোভী আওয়ামী লীগ আজ দিশেহারা। করোনা মোকাবেলার ব্যর্থতা ঢাকতে নানা রকম নাটক মঞ্চায়নে ব্যস্ত। মানুষের দৃষ্টি সরানোই মূল লক্ষ্য। নগর যুবদল নেতৃবৃন্দ এ সময়, নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও নগর যুবদলের সহ-সভাপতি হাসান মুরাদ সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রকাশ করার আহবান জানান। দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভাবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বপালনের অনুরোধ জানান। পুলিশ একটি দলের হয়ে কাজ করতে পারে না। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল সোনালী ইতিহাস রয়েছে।