জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা করোনার চেয়ে ভয়ানক হবে

জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা ভবিষ্যতে করোনা মহামারির চেয়েও বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি এ জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা (অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাতটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স (জিএলজি-এএমআর) শীর্ষক সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির মতো জনস্বাস্থ্য সংকট এরইমধ্যে তিন মিলিয়নের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তবে জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা অর্থাৎ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্সের (এএমআর) আকারে আসন্ন মহামারি বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি ভয়ানক ক্ষতি করবে। এটি কেবল মানব জাতি, প্রাণী এবং উদ্ভিদ স্বাস্থ্যকেই বিপন্ন করবে তা নয়, এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে হুমকি হবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে সাতটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সেগুলো হলো: ১. এআরসির লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, ব্যাপক মনিটরিং এবং প্রতিবেদন তৈরির ব্যবস্থা করা।

২. অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্তরে গাইডলাইন এবং নীতিমালা উন্নত করা।

৩. কার্যকর ও ব্যাপক এএমআর নজরদারি এবং সক্ষমতা তৈরি নিশ্চিত করতে পরস্পরের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং কারিগরি সহায়তা বিনিময় করা।

৪. প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মালিকানা ভাগাভাগীর মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের ও কার্যকর অ্যান্টিবায়েটিক এবং অন্য মেডিক্যাল সুবিধাগুলো সবার জন্য নিশ্চিত করা।

৫. স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে এএমআর-নির্দিষ্ট এবং এএমআর-সংবেদনশীল কাজের জন্য পর্যাপ্ত এবং টেকসই অর্থায়ন করা।

৬. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে এএমআর প্রতিরোধে বিনিয়োগ করা।

৭. সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সাশ্রয়ী এবং টেকসই সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স এর হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব নেতাদের এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অ্যান্টি ড্রাগ রেজিট্যান্স ভৌগলিক অবস্থা এবং আর্ত-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।