বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরনে স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হবে

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল রাউজান পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকায় স্থানীয় রাজকারদের সহায়তায় পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে হানা দিয়ে কামিনী কবিরাজ সহ এলাকার নিরিহ ১১ জন মানুষকে ধরে নিয়ে বাড়ীর অদুরে লাইন ধরিয়ে ব্রাস ফায়ার করে হত্যা করে। কামিনী কবিরাজ সহ ১১ জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর তাদের মরদেহ সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকার পশ্চিম পাশে বেরুলিয়া খালের পুর্বে একটি গর্ত করে ,মাটি চাপা দেয় হানাদার বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় রাজকারদের সহায়তায় । স্বাধীনতার পরবর্তী ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদদের স্মরনে বধ্যভুমিতে কোন স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়নি । রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ সুলতান ছিটিয়া পাড়া বধ্যভুমিতে স্মৃতি সৌধ নির্মান করার ঘোষনা দেয়। গতকাল ২৬ এপ্রিল সোমবার দুপুরে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া বধ্যভুমি এলাকা পরিদর্শন করেন । এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর এডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরী, এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, জানে আলম জনি, রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ আবদুল মান্নান, যুবলীগ নেতা আবু সালেক, সাবের উদ্দিন, তানভীর হাসান চৌধুরী, উজ্জল দাশ গুপ্ত, ছাত্রলীগ নেতা নাসির উদ্দিন, আরমান সিকদার, বেলাল হোসেন সিফাত, সেণ্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব । রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বৃদ্ব আলহাজ¦ আবদুল মান্নান বলেন, ৭১ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুরে স্থানীয় রজাকারদের সহায়তায় পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা কামিনী কবিরাজ সহ এলাকার ১১ জন নিরিহ লোককে ধরে এনে লাইন ধরে দাড় করিয়ে ব্রাস ফায়ারে হত্যা করে। ১১ জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর তাদের মরদেহ মাটির গর্ত করে গর্তের মধ্যে মাটি দিয়ে চাপা দেয় । রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের স্মরনে রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে হত্যাকান্ডের স্থান বধ্যভুমিতে স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হবে রাউজান পৌরসভার পক্ষ থেকে ।