পেকুয়ায় নির্মিত হচ্ছে দুইটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র “মুজিবকিল্লা”

পেকুয়া প্রতিনিধি 
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দুইটি মুজিবকিল্লা।
গত ৪ মাস ধরে মগনামা ইউপির শরৎঘোনা ও উজানটিয়া ইউপির মালেকপাড়ায় মুজিবকিল্লার কাজ দুইটি চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজল এন্ড ব্রাদার্স  সরকারি সিডিউল অনুযায়ী টেকসইভাবে দ্রুত শেষ করার জন্য চলমান রেখেছেন বাস্তবায়ন কাজ।
মুজিবকিল্লা দুইটির কাজ শেষ হলে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা দুইটির জনগণের দুঃখ লাগবে সহায়ক হবে মনে করেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের বেশিরভাগ সাধারণ জনগণ  প্রাকৃতিক দূর্যোগে কষ্ট পেয়ে থাকেন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গবাদি পশু ও মালামাল পানিতে তলিয়ে যায়। সাইক্লোন সেল্টার থাকলেও তা জনগণের জন্য অপ্রতুল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের চাহিদার অনুকূলে বর্তমান সরকার এ দুইটি ইউনিয়নে দুইটি মুজিবকিল্লা করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে নিয়ম অনুযায়ী কাজ দুইটির কার্যদেশ পান কাজল এন্ড ব্রাদার্স। গত ৪ মাস আগে কাজ দুইটি শুরু করে আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার জন্য দ্রুত এগিয়ে গেলেও কিছু মহল চলমান কাজ নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেন।
সরকারি সিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন কাজ তদারকি করলেও স্থানীয় কিছু মহল ঠিকাদার থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এমন অভিযোগ ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট লোকজনের।
ঠিকাদার পক্ষের লোকজন জানিয়েছেন, চলমান কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করা হবে। প্রতিদিন কোন না কোন সরকারি লোক কাজ তদারকি করতে আসেন। লোহা, সিমেন্ট, পাথর আর বালি পরিক্ষা করেন। এছাড়াও ঠিকাদার জয়নাল আবদীন কাজল কাজ তদারকি করেন নিয়মিত। মিস্ত্রিদের বলে দিয়েছেন কাজে কোন ধরণের অনিয়ম করা যাবেনা। কিল্লায় ব্যবহৃত সব মালামাল উন্নত। তারপরও কিছু মহল সবসময় অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
 মগনামা ইউপির সদস্য নুর মুহাম্মদ মাদু বলেন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় হলে আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণের জন্য জায়গার অভাব থেকে যায়। মুজিবকিল্লার কাজ শেষ হলে এ দুঃখটা অনেকাংশে লাগব হবে। প্রতিদিন আমরা কাজগুলো বাস্তবায়ন দেখে আসি। কিন্তু ধরণের অনিয়ম করার সুযোগ নাই।
ঠিকাদার জয়নাল আবদীন কাজল বলেন, অসহায় জনগণের দুঃখ লাগবের জন্য বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিবকিল্লা তৈরি করছেন। বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। এখানে যেই অনিয়মের আশ্রয় নিবে তার জন্য হবে খুব বড় অভিশাপ। আমি টেকসইভাবে তৈরি করছি এ দুইটি প্রকল্প। বাইরে অনিয়মের কথা না বলে দেখিয়ে দিক আমি কি অনিয়ম করছি। তদারকি কর্মকর্তাদের দেখাক আমি কি অনিয়ম করছি। এ ক্ষেত্রে আমার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শুধুমাত্র কথায় কথায় অপপ্রচার করে উন্নয়ন কাজ বাঁধাগ্রস্ত করে লাভ কি। আগামী জুনের মধ্যে ইনশাল্লাহ কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দিব। এ ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
পেকুয়া প্রকল্প কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এ দুইটি প্রকল্প প্রতিদিন আমরা তদারকি করে থাকি। সবকিছু পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে। ঠিকাদার অনিয়ম করার সুযোগ পাবেনা। অনিয়ম হলেই আমরা ব্যবস্থা নিব।