কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করায় নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব

চট্টগ্রাম সুহৃদের উদ্যেগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিউজ চট্টগ্রাম মিলনায়নতনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সুহৃদের সভাপতি উদ্যোক্তা ও গণমাধ্যমকর্মী মির্জা ইমতিয়াজ শাওনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম সুহৃদের সহ সভাপতি ও গণমাধ্যমকর্মী জাহেদ কায়সার, চট্টগ্রাম সুহৃদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংগঠক সৈকত শুভ্র। উপস্থিত ছিলেন চলচিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ কামাল, লেখক সালাম সৌরভ, সংগঠক নুরুল ইসলাম সবুজ, গণমাধ্যমকর্মী মুহম্মদ মহিন, সংগঠক অমিত পাল, শিল্পী বখতেয়ার আলম, সংগঠক জাগাঙ্গীর, ক্রিড়াবিদ মোরশেদ শাহিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির দিন আজ। বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে একসাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন তার চূড়ান্ত পরিণতি। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহংকারের দিন আজ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস আজ। ৫০ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশ। আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন—একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস—স্বাধীনতার ইতিহাস। স্বাধীনতার ইতিহাস ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান আর ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাথা, গণবীরত্বের ইতিহাস।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভিযাত্রায় এক মহাসন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ করছে। কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করার নতুন শপথে বলিয়ান হওয়ার দিন আজ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষের’ মাহেন্দ্রক্ষণে উদ্যাপিত হচ্ছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। এটি সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য এক আনন্দঘন গৌরবের অনুভূতি।

কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করায় নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব। স্বাধীনতা যে শুধুমাত্র একটি “মানবিক” আবদার তা কিন্তু নয়, সকল “প্রাণীই” স্বাধীনতার পরম তৃপ্তি উপভোগ করতে চায় । সবাই স্বাধীন হতে চায়, এর মানে সবাই তাদের কাঙ্ক্ষিত পাওয়নাটি পেতে চায় । সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।