কাপ্তাইয়ে রবি টাওয়ারে যন্ত্রাংশ চুরিঃ চোরদলকে ধরিয়ে দেওয়ায় যুবককে সম্মাননা

কাপ্তাই অফিস। কাপ্তাইয়ে রবি টাওয়ারের যন্ত্রাংশ চুরি করার সময় এক যুকের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতায় ধরা পড়ে আটজনের একটি চোর সিন্টিকেট। কাপ্তাইয়ের শীলছড়ি এলাকায় গত ২ মার্চ সন্ধ্যায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় গত রোববার (৭ মার্চ) শীলছড়ির সেই সাহসী যুবক মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে সম্মাননা দিয়েছে অজিয়াটা কোম্পানির মালিকানাধীন “ইউটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের” কান্ট্রি ডিরেক্টের রিকি স্টেইন। ইউটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রকৌশলী (উন্নয়ন) জয়ন্ত পদ দে বলেন, রবি টাওয়ারে থাকা অধিকাংশ যন্ত্রপাতি মূল্যবান হওয়ায় এগুলো চোরদের সহজ নিশানায় পরিনত হয়েছে। ঘটনার দিন চোর দলের ৮ জনের সিন্ডিকেট রবি টাওয়ারের যন্ত্রাংশ খুলতে এলে যুবক সরোয়ার হোসেন নিজ বাগানে কাজ করারত অবস্থায় তাদের দেখে সন্দেহ পোষন করে। তিনি স্থানীয় রবি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অফিস থেকে তাকে জানানো হয় যে, রবি’র এধরনের কোন অপারেটর বা কারিগর দল তারা পাঠায়নি। এরপরই সরোয়ার তার বুদ্ধিমত্তা ও স্থানীয় লোকদের সহযোগিতা নিয়ে কৌশলে ওই চোরদলকে আটকে ফেলে এবং তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এমন সাহসিকতার কাজ করায় গত রোববার ইউটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্টি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন সম্মাননা জানিয়ে মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, টাওয়ারে যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা স্থানীয় মোঃ সরোয়ার ও স্থানীয় জনতার মাধ্যমে জানতে পেরে চোরদলের আটজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। এদিকে শীলছড়ির সমাজকর্মী সাহসী সরোয়ার হোসেন জানান,গত তিন বছর পূর্বে একই জায়গায় টাওয়ারের যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছিল। আটক হওয়া চোর দলের সিন্ডিকেট সালাউদ্দিন পূর্বেও এধরনের চুরির সাথে জড়িত ছিল। তাদের নিকট ছোটখাটো বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ দেখে সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় জনতাকে খবর দেন এবং তাদের সহযোগিতা নিয়ে আট জনকে ধরে ফেলেন। পরে কাপ্তাই থানায় খবর দিয়ে তাদের হাতে ওই চোর সিন্ডিকেটকে তুলে দেন। তিনি এসম্মাননা পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে বলেন, এই প্রাপ্য শুধু আমার একার নয়, এটা পুরো কাপ্তাইয়ের শীলছড়িবাসির বলে মত প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ মোবাইল কোম্পানী রবি’র অপারেটর পরিচয় দিয়ে রবি টাওয়ার থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করার সময় কাপ্তাইয়ের শীলছড়ি থেকে ৮ জনের চোরদলকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- কুমিল্লার মুরাদনগরের জয়নাল আবেদিনের ছেলে মো. শফিক (২৪), কুমিল্লার মুরাদনগরের নায়েব আলীর ছেলে মো. সালাউদ্দীন (২৮), রাউজানের গহিরার বেধারসদয়ের ছেলে মো. সালাউদ্দীন (২৮), নোয়াখালীর হাতিয়ার মেহরানের ছেলে মো. রুবেল (২৬), ফেনীর ছাগলনাইয়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. ইমরান (২১), বাঁশখালীর প্রেমবাজারের সমর আলীর ছেলে মো. ইউনুস (২৮), লোহাগড়ার বলাওজানের মৃত হাকিম আলীর ছেলে এম এ তাহের (৩০) এবং কুমিল্লা কোতয়ালীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রাহাত আহম্মেদ (২৫)।