নগর ভবনের নির্মাণকাজ শুরু

ভিত্তি স্থাপনের ১৪ বছরের বেশি সময় পর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে চসিক নগর ভবনের। প্রথম ধাপে ২৮ কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৭ টাকায় তিনটি বেইজমেন্ট ও তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।
প্রণয়ন নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম ‘আইকনিক’ এ ভবনের নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে আন্দরকিল্লায় নগর ভবনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরো দু’টি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে৷ তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের নির্মাণকাজ শুরু হলো আজ৷ আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা৷ বাকি অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে৷

স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো, নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হতো৷ এজন্য নিজস্ব অর্থায়নে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারবেন৷ এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মো. ইলিয়াছ, মো. আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মো. রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম প্রমুখ।

মোনাজাত পরিচালনা করেন চসিকের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী।

জানা যায়, তিনটি বেইজমেন্টসহ ১৮ তলা (২ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ বর্গফুট) নগর ভবন হচ্ছে। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৭ টাকা। ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা (৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট) জায়গায় শোর পাইল হবে ৩২০টি। ১৯ হাজার ৭৭০ বর্গফুটের বেইজমেন্ট হবে তিনটি। ১৪ হাজার ২১৪ বর্গফুটের ৩টি ফ্লোর। পার্কিং করা যাবে ১৬০টি। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে।

২০২৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করবে মেসার্স তাহের ব্রাদার্স, মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (জেভি)।

২০১০ সালের ১১ মার্চ নগর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।