মহানগর বিএনপির উদ্যোগে তারেক রহমানের কারাবন্দী দিবস পালিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫ তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে রবিবার (৭ মার্চ) বাদে জোহর দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রাহমানের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক। পরে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা, শাহাদাত হোসেন বলেন, ৭ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দি দিবস। ২০০৭ সালের বিভীষিকাময় এই কালো রাতেই কোনো ওয়ারেন্ট ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বিতর্কিত সেনাসমর্থিত সরকারের জরুরী বিধিমালায় গ্রেফতার করা হয় জনপ্রিয় এই রাজনীতিককে। ১/১১-এর জরুরি অবস্থাকালীন দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের মূল টার্গেট হন দেশনায়ক তারেক রহমান। রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে দেশে-বিদেশে তন্ন তন্ন অনুসন্ধান করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাকে দন্ড দিতে জরুরী অবস্থাকালীন দ্রæত বিচার আইনে দফায় দফায় সংশোধনীও আনা হয়। সাজানো মামলায় দন্ড না দেয়ায় বিচারককেও হয়রানি করা হয়। অবশেষে বর্তমান সরকারের সময়ে নিয়োগ দেয়া বিচারকের আদালতে নিয়ে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়। তারেক রহমানকে আওয়ামীলীগ ভয় পায় বলেই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তারেক রহমানকে গ্রেফতারের পর পুলিশ রিমান্ড ও কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্মম নির্যাতনের মধ্যে একটানা ১৮ মাস কারাগারে থাকতে হয়। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিষ্ঠুর নির্যাতনে তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া হয়। এই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ তরুণ নেতার জীবন এখনও বিপন্ন। ১/১১ সরকারের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সারাদেশে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে। একাধিক মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা ও ওয়ারেন্ট জারি করেছে। তারেক রহমানের দূরদর্শিতা, অকান্ত পরিশ্রম, প্রজ্ঞা ও ক্যারিশমার কারণে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। এ সময় অন্যান্নের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মো, শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, হারুন জামান, হাজী মোঃ আলী, নিয়াজ মোঃ খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো.কামরুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জসিম উদ্দীন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ বেলায়েত হোসেন বুলু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, কাজী শামসুল আলম, মো. বেলাল, মো. আসলাম, জানে আলম জিকু, জমির আহম্মেদ, খাজা আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, এস এম আবুল কালাম আবু, মো. এমরান উদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাসান ওসমান, এস এম ফরিদুল আলম, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দীন নাহিদ, নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমূখ।