একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনকল্পে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, জাতির যে কোন সংকটে নির্মূল কমিটি ধ্রুবতারার ভূমিকা পালন করবে।
তারা বলেন, যে সময়টিতে দেশে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এক প্রকার নিষিদ্ধ ছিলো সেই সময়টিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম দেশবাসীকে এক সুতোয় বেঁধেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণায়। ক্যান্সার তাকে ধরাশায়ী করলেও যুদ্ধাপরাধীদের চেতনা বিনাশে তিনি আমৃত্যু লড়েছেন। একটি অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নির্মূল কমিটির সংগ্রামী অভিযাত্রা চলমান থাকবে।
গত ৫ মার্চ নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে চট্টলবন্ধু এস.এম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা মফিজুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার। জেলা নেতা মোহাম্মদ অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বায়েজিদ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মোজাহেরুল আলম, জেলা নেতা এম. হামিদ হোছাইন, মুহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন, আবু সাদাত মো. সায়েম, নাজমুল আলম খান, রোকসানা পারভীন (রুবা আহসান), এম শাহাদাৎ নবী খোকা, মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, আবদুল হাকিম, সাজিদুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার, আবদুল্লাহ মুহিত, চান্দগাঁও থানা শাখা সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল, মো. জাহেদুল আলম, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, রকিব হাসান, অসিত বরণ বিশ্বাস, সাজ্জাত বিন সাফা, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নির্মূল কমিটির সূচনালগ্নে চট্টগ্রামের অন্যতম নেতা এবং সাবেক জেলা সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদারকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান ঘোষণা করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং আগামী ৩০ মার্চ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ক্যাপশান : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় বক্তব্য রাখছেন ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার।
