‘লাকিংমের স্মরণে ভালোবাসার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচি

চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের যৌথ আয়োজনে ‘লাকিংমের স্মরণে ভালোবাসার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে লাকিংমে চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়।

সমfবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হাসান।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা শ্রাবণ চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, নাট্যজন সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী, ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শুকলাল দাশ, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশগুপ্ত, সাংস্কৃতিক সংগঠক সুনীল ধর, সাংবাদিক প্রীতম দাশ, সংগঠক শৈবাল পারিয়াল, সংগঠক হাবিবুল হক বিপ্লব, কাবেরী আইচ, বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল আইচ, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জগৎ চাকমা, সহ-সভাপতি ডিয়াস তঞ্চঙ্গ্যা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুখী কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ হাসান বলেন, ‘যদি দেশের সংবিধান সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার স্বীকার করে তাহলে কেন কিছুদিন পরপর অধিকারের দাবিতে আদিবাসীদের পথে নামতে হয়?

তিনি বলেন, সবার রক্তে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। মাত্র ১৫ বছরের কিশোরী লাকিংমেকে অপহরণ করা হয়। কখনোই তা আইনসম্মত নয়। এটি দীর্ঘ চক্রান্ত, নারীর প্রতি অবিচার কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারলে আরো অন্যায় হবে। লাকিংমে চাকমার ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।

ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতি অবিচার হবে আর প্রশাসন এসে তার প্রতিকার করবে এ ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে। নতুন প্রজন্মের উচিত এজন্য সংগ্রাম করা। যাতে প্রতিকারের জন্য কারও দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়।

শরীফ চৌহান বলেন, আমরা লাকিংমে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হোক। লাকিংমের জন্য আমাদের ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী লাকিংমেকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর করা হয় যা ধর্ষণেরেই নামান্তর। তাই নিয়মিত মামলা করে অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা লাকিংমের পরিবারের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ বলেন, লাকিংমে চাকমাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। তার পরিবার এর ন্যায্য বিচার পায়নি। লাকিংমে কোনো একক ঘটনা নয়। পাহাড়ে ও সমতলে এরকম অনেক ঘটনা ঘটছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শান্ত পাহাড়ে অশান্তির আগুন জ্বেলে দিয়েছে। সেই দাবানল আজো জ্বলছে। সরকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে নানা চেষ্টা করলেও দুষ্টচক্র সক্রিয়। লাকিংমের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।