খাদ্য সংকটে ভুগতে থাকা মাদারীপুরের চরমুগুরিয়া এলাকার বানরগুলোর জন্য খাদ্য কর্মসূচি চালু করেছে সামাজিক বন বিভাগ। বানরের খাবারের তালিকায় রয়েছে ১২০ কেজি কলা, ২৫ কেজি বাদাম, ১০০ কেজি পাউরুটি।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।
স্থানীয়রা জানান, এ এলাকার বানরগুলো দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্য সংকটে ভুগছে। খাদ্যের অভাব দেখা দেওয়ায় দিন দিন কমছে বানরের সংখ্যা। খাবারের জন্য বানরগুলো মানুষের বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। স্থানীয়রা মাঝে মধ্যে খাবার-দাবার দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। খাবার না পাওয়ায় বানরগুলো অনেক সময় স্থানীয় লোকজনের বাড়িতে ঢুকে খাবার নিয়ে যায়। কারও কারও বাড়ি থেকে ব্যবহার্য জিনিসপত্রও নিয়ে যায়। পরে খাবারের বিনিময়ে তা ফেরত দেয় বানরগুলো।
জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা তাপস কুমার সেনগুপ্ত জানান, চরমুগরিয়ার বানরগুলোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় পর্যায়ে দাবি উঠেছিল। খাদ্যসংকট নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এদের জন্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন। এ উদ্যোগ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
বন কর্মকর্তা আরও জানান, কাজল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দকৃত পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকার এ খাবার চরমুগরিয়া ইকোপার্ক এলাকা, মিলগেট, আড়িয়াল খাঁর শাখা নদীর পাড়ে ঘুরে ঘুরে বানরদের খাওয়ানো হবে। খাবার দেওয়া প্রতি সপ্তাহে তিনদিন করে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৩৩ দিন চলবে। এরপর আরও ৬০ লাখ টাকার খাবার বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এছাড়া চরমুগরিয়া ও ইকোপার্ক এলাকার আশপাশের খালি জায়গায় বানরের খাবারের উপযোগী ফলগাছ রোপণের কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।