মিনার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এবং আল-কুরআন একাডেমি, লন্ডনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় কুরআন বিতরণ কমসূচী-২০২৫ চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন ও মিনার, চবি‘র চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহীম। প্রধান আলোচক ছিলেন আল কুরআন একাডেমি লন্ডন এর চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ।
মিনার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আবু নোমান, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কবি কর্নেল (অবঃ) আশরাফ আল দীন, পিএসসি, ডিরেক্টর, ইমপ্রেস নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল লি. মাওলানা নুরুল আমিন মাহদী.
, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন।
উপাচার্য বলেন, কুরআন হচ্ছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এ পবিত্র গ্রন্থের প্রতি সকলকে যথাযথ সম্মান ও গুরুত্ব দিতে হবে। পবিত্র কুরআনের বাণী ছড়িয়ে দিতে পারলেই সমাজে শান্তি ও শৃংখলা বজায় থাকবে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে এমন কোন ধর্ম নেই যে ধর্মে হত্যা, দুর্নীতি, অপকর্ম, অনিয়ম ও অনৈতিক কাজ করার সমর্থন দেয়। ইসলাম ধর্মেও এ ধরনের কার্যক্রমের কোন সর্মথন নেই। উপাচার্য বলেন, ধর্মচর্চা ও ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে সকল ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা যায়। তিনি বলেন, সকল ধর্মের সহাবস্থানের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে একটি অসাম্প্রদায়িক ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুন্দর আছে বলেই শিক্ষার্থীরা সকল ধরনের কার্যক্রম অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে পারছে। উপচার্য সকলকে নিজ নিজ ধর্মের প্রতি আনুগত্য থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবমূখর পরিবেশ চলমান রাখতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। উপাচার্য আল কুরআন একাডেমি, লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মিনার, চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দকে এ মহতি আয়োজনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সত্য ও মিথ্যাকে পার্থক্য করবার জন্য পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহ মানব জাতির ওপর নাযিল করেছেন। এ পবিত্র কুরআনে ইহকাল এবং পরকালের সবকিছুর মর্মবাণী নিহিত রয়েছে। পবিত্র কুরআন তিলওয়াত করে এর মর্মবাণী নিজেও জানবে এবং অন্যজনকেও জানানোর মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার করতে হবে। উপ-উপাচার্য আজকের অনুষ্ঠান থেকে পবিত্র কুরআন মাজিদকে রেখে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রহণ না করে পড়ার উদ্দেশ্যে গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান জানান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্তির বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ বর্তমানে ব্যাপকভাবে পবিত্র কুরআনের দিকে ঝুঁকছে। সবাই যদি পবিত্র কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী জীবন গঠন করে, তাহলে সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাই তিনি সকলকে কুরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি অনুধাবন করতে অনুরোধ জানান।
চবি আবৃত্তি সংসদের সদস্য মাসুদুর রহমান ফাহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক হাবিবুল্লাহ খালেদ। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াত করেন ক্বারী হিজবুল্লাহ আল মুজাহিদ এবং ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন দুর্নিবার শিল্পীগোষ্ঠী।