ইভি দুনিয়া: টেসলা-টয়োটার ব্যাটারি বিপ্লব

টেসলা নাকি টয়োটা? কারো চেয়ে কেউ কম না! গাড়ি তৈরির মহারথীদের মধ্যে বড় ধরনের প্রতিযোগিতা চলছে। এরই মধ্যে গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তিতে যেসব নতুনত্ব আসছে, সেগুলো ইলেকট্রনিক ভেহিকল (ইভি) দুনিয়ায় নিঃসন্দেহে বিরাট বিপ্লব ঘটাবে।

টেসলা আসারও কয়েক যুগ আগ থেকেই আছে টয়োটা। টয়োটা এমনই এক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, যার ওপর বহু মানুষের জানশোনা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।
ইলেকট্রনিক গাড়ির বাজারে দীর্ঘ দিন টেসলার রাজত্ব থাকলেও টয়োটা এখন বড়সড় প্রস্তুতি নিয়ে এ বাজারে নামছে। যদিও ইলেকট্রনিক গাড়ির বাজারে নির্দিষ্ট পরিসরে আগে থেকেই টয়োটার অংশগ্রহণ ছিল। বর্তমানে টেসলা যে পরিমাণ গাড়ি তৈরি করছে, তা কোনোভাবেই টয়োটার গাড়ি তৈরির সংখ্যার চাইতে ৩ শতাংশের বেশি না।

গাড়ির বাজারকে স্মার্টফোন বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে–টয়োটাকে বলা যায় অ্যাপল, আর টেসলাকে তুলনা করা যায় অ্যানড্রয়েডের সঙ্গে।

এরই মধ্যে টয়োটা প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে আরেকটি খবর প্রকাশ হয়েছে, যার শিরোনাম, “টেসলাকে অনুসরণ ছাড়া টয়োটার আর কোনো বিকল্প নেই!”।

টয়োটা এই বাজারে রাজ করার দিকে এগোচ্ছে, আর ওই দিকে টেসলা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আর চমকে দেয়ার সুযোগের অপেক্ষা করছে, যাতে প্রতিপক্ষকে আশাহত করা যায়।

যদিও ব্যাটারিতে নতুনত্ব এনে এই যাত্রায় নিজেদের বড় খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছে টয়োটা। টয়োটার ‘সলিড স্টেট ব্যাটারি’ নিয়ে আসাটা ইলেকট্রনিক গাড়ির প্রযুক্তিতে এক বৈপ্লবিক ঘটনা। এটি ৫৬ শতাংশ বেশি সাশ্রয়ী। এছাড়া এটি তৈরি করতেও তুলনামূলক কম খরচ ও পরিবেশবান্ধব। এছাড়া টয়োটার গাড়িগুলোও টেকসই।

ওদিকে, টেসলার গাড়িগুলো যে খারাপ, তা না। তবে তাদের গাড়িতে খুঁটিনাটি অনেক ঘাটতি আছে, তা অবশ্য সমাধানযোগ্য। তবে ভালো ব্যাটারিসহ কয়েকটি কারণে সামনের বছর টয়োটার জন্য ভালো হবে, এমনটাই ধারণা অনেকের।