ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেন। আপাতত ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোর উপর হামলা বন্ধ রাখবেন বলে তিনি রাজি হন।
এই যুদ্ধবিরতি চলবে ৩০ দিন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থায়ী শান্তিচুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৩০ দিনের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি চাইলেও পুতিন এর অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন জানায়, তারা এই সীমিত চুক্তিকে সমর্থন করবে। এই সময়ে দুই দেশ এক মাসের জন্য পরস্পরের জ্বালানি অবকাঠামোর উপর হামলা থেকে বিরত থাকবে।
তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, পুতিন বড় কোনো ছাড় না দিয়ে সময় কেনার পথে হাঁটছেন, কারণ রুশ সেনারা পূর্ব ইউক্রেনে আরও ভূখণ্ড দখলের কাজ অব্যাহত রেখেছে।।
এদিকে, হোয়াইট হাউস জানায়, কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতি, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু হবে। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প ও পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই আলোচনায় ইউক্রেন অংশ নেবে কি না, সেটি অস্পষ্ট।
ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভ উইটকফ জানান, এই আলোচনা ২৩ মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে।
উইটকফ মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুটি বিষয়ে—জ্বালানি ও অবকাঠামো যুদ্ধবিরতি এবং কৃষ্ণসাগরে হামলা বন্ধে কোনো ঐকমত্য ছিল না। আজ আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছেছি এবং এখান থেকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি পর্যন্ত পথ খুব বেশি দূরে নয়।’
তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে উইটকফের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
ক্রেমলিন জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর পুতিন রুশ সেনাদের জ্বালানি স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ ও সেনা মোতায়েনের সুযোগ এনে দেবে।
সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যেকোনো সমাধানের জন্য ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ করা আবশ্যক।
সূত্র: ফক্স নিউজ