লোহাগাড়ায় আরও তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাইকোর্টের নির্দেশের পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় দ্বিতীয় দিনের মত আজ মঙ্গলবারও অভিযান চালিয়ে আরও তিনটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এ সময় মেসার্স এস.বি.এন ব্রিকস প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর, পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো- মেসার্স এস.এম.বি ব্রিকস, মেসার্স এস.বি.এন ব্রিকস, মেসার্স সি.বি.এম ব্রিকস। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা থেকে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছি আমরা। সোমবার চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দিয়েছি এবং আজ মঙ্গলবার চরম্বার ৩টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। লোহাগাড়া উপজেলায় অর্ধ শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসবের মধ্যে ৫-৬টি ইটভাটার বৈধতা রয়েছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো আমরা একে একে উচ্ছেদ করবো পর্যায়ক্রমে। উচ্ছেদ অভিযান পুরো চট্টগ্রামে চলবে। চট্টগ্রাম জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। আজকেও (মঙ্গলবার) লোহাগাড়ার চরম্বার তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য উপজেলায়ও উচ্ছেদ অভিযান চলবে। জানা যায়, চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত দিনের সময় দেন। আদালতের আদেশে একইসঙ্গে বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার ও কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২৯ নভেম্বর রিট করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। উল্লেখ্য, সোমবার দিনব্যাপী লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ, কলাউজান ও চুনতি এলাকায় চারটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।