ড্রোনে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়ালেন আকাশে

১৭ বছর বয়সে ৬ পাখার ড্রোন বানিয়েছে বাপ্পি। এরপর সেই ড্রোনে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়ালেন আকাশে।
দূর থেকে হাজারো মানুষ বিস্ময়ভরা চোখে দেখলো সেই পতাকা। কেউ জানালো স্যালুট, কেউ বা বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলেন। জানালেন সম্মান আর ভালোবাসা।

মহান বিজয় দিবসে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কাজীর দেউড়ির আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় পতাকা নিয়ে ৮ মিনিট উড়েছে ড্রোনটি। নবনির্মিত সুইমিং পুল এলাকা থেকেই ড্রোনটি উড়ানো হয়।
বাপ্পির ভালো নাম মইনুল ইসলাম। সে পড়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে, দ্বিতীয় বর্ষে। এতটুকুন বয়সে ৪ পাখার ১ ডজন ড্রোন বানিয়েছে। ৬ পাখার ড্রোন এই প্রথম বানালো।

বাপ্পির বাবা স্টেডিয়াম মার্কেটে টাইলসের ব্যবসা করেন। ছেলের উৎসাহ দেখে ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম, ব্যাটারি কেনার টাকা দিয়েছেন তিনি।

বাপ্পির তৈরি ড্রোনবাপ্পি জানায়, চীন থেকে ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম আনিয়ে নিজেই বানিয়েছে। নতুন বানানো ক্যামেরা ও নিচে বক্সযুক্ত ড্রোনটি ১ কেজি ওজনের পণ্যসামগ্রী বহন করতে সক্ষম। রিমোট কনট্রোল সিস্টেমে মূলত দূরে থেকে করোনাকাল মাস্ক, ওষুধ, খাবার পৌঁছানো কিংবা উঁচু ভবনে আগুন লাগলে বা কোনো দুর্ঘটনায় কেউ আটকে পড়লে জরুরি সাহায্য হিসেবে দড়ি, ছোট অক্সিজেন ক্যান ইত্যাদি জরুরি সাহায্য পাঠানোর লক্ষ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে। ৩০০ মিটার উঠতে সক্ষম ড্রোনটি তৈরিতে খরচ পড়েছে ৪৪ হাজার টাকা।

বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ড্রোন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ থাকায় ইন্টারনেটে এসব বিষয়ে পড়াশোনা করেছে। বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইনভিত্তিক প্রশিক্ষণও নিয়েছে সে। নিজের তৈরি ৪ পাখার ড্রোনগুলো খুব একটা শক্তিশালী ছিল না। ৬ পাখার ড্রোনটি মনের মতো হয়েছে। নিজের তৈরি ড্রোন মানুষের কল্যাণে আসলে তার পরিশ্রম সার্থক হবে।