২৭৪ কোটি টাকায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বানৌজা শেখ হাসিনা সড়ক

পেকুয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উপকূলীয় সম্ভাবনাময় উপজেলা পেকুয়ায় হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘‘বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি মহাসড়ক’’। ইতিমধ্যেই সড়কটি নির্মাণের জন্য ২৭৪ কোটি টাকারও বেশি একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় (একনেকে) অনুমোদিত হওয়ার পর ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ নভেম্বর একনেক সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত বর্তমান সরকারের ১৯তম একনেক সভায় জনগুরুত্বপূর্ন ’’বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি মহাসড়ক’’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী রবিবার সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে আনুষ্টানিক উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেন চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ১২ মার্চ আনুষ্টানিকভাবে চট্টগ্রাম নেভাল বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বিএনএস শেখ হাসিনা নৌ ঘাঁটি’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। আর সেটি স্থাপিত হচ্ছে উপকূলীয় শহর কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কুতুবদিয়া চ্যানেলের পূর্বপাশের্^ মগনামা ইউনিয়নে। মগনামায় শেখ হাসিনা সাব মেরিন নৌঘাঁটি নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে গত ২০১৫ সালের দিকে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী মগনামা ইউনিয়নে প্রায় চার’শ একর জমি অধিগ্রহণ করে। পরে অধিগ্রহণকৃত জায়গায় নৌ-বাহিনীর প্রধানসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল একাধিকবার মগনামায় নির্মাণাধীন বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।

এদিকে জমি অধিগ্রহণ করার পর নৌঘাঁটি থেকে মগনামা লঞ্চঘাট হয়ে মগনামা-একতাবাজার পর্যন্ত সওজের মালিকানাধীন সড়টি মহাসড়কে রূপান্তরিত করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার সড়টিতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সর্বশেষ প্রকল্পটি গত বছরের ৫ নভেম্বর একনেকের সভায় অনুমোদন হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটি থেকে মগনামা লঞ্চঘাট হয়ে মগনামা-চকরিয়ার একতাবাজার পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার মহাসড়ক হলেই বদলে যাবে পুরো পেকুয়া উপকুলের চেহারা। পেকুয়া যুক্ত হবে জাতীয় মহাসড়ের সাথে। মৎস্য ও লবণ সমৃদ্ধ উপজেলা পেকুয়া অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাবে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় এতদ:ঞ্চলের বাসিন্দারা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, ‘বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি মহাসড়কটি হলেই বদলে যাবে পেকুয়া উপকূলীয় মগনামা জনপদ। জাতীয় মহাড়কের সাথে যুক্ত হবে এক সময়ের অবহেলিত অঁজ পাড়া গাঁ পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়ন। ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় ও আগামী রবিবার উদ্বোধন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি মগনামাবাসীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিকে বৃহত্ত এ সড়কটি সেতু মন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন উপলক্ষে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ এক জরুরী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

১৮ নভেম্বর (বুধবার) বিকেলে পেকুয়া বাজার দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম। উপজেলা আ’লীগ নেতা বশির আহমদ সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেমের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, জেলা আ’লীগ সদস্য উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আজম খান, উজানটিয়ার চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, রাজাখালীর চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, শিলখালী আ’লীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী, উজানটিয়ার সভাপতি তোফাজ্জল করিম, বারবাকিয়ার সভাপতি আবুল হোছাইন শামা, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, উপজেলা আ’লীগের সাংষ্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজীউল ইনসান, জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারন সম্পাদক এস,এম শাহাদাত হোছাইন, কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ, ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর প্রমুখ।