দীর্ঘ সাতমাস পর উন্মুক্ত হলো কাপ্তাইয়ের প্রশান্তি পার্ক

নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই কাপ্তাই উপজেলার অপরুপ সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্র প্রশান্তি পার্ক করোনার কারণে দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে সর্ব সাধারনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রশান্তি পার্ক পুনরায় উন্মুক্ত করায় পর্যটকরা খুশি। দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে প্রবেশ করতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। এছাড়া প্রশান্তি পার্কে কর্মরতদের মাঝেও ফিরেছে স্বস্তি । দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নতুন রূপে আরো আকর্ষনীয় হয়ে খোলা হচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। কাপ্তাইের অন্যতম আর্কষণীয় পর্যটন কেন্দ্র প্রশান্তি পার্কে প্রবেশ করলে খুব কাছ থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। লুসাই পাহাড় থেকে নেমে আসা শীতল জলের কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন শত শত পর্যটকের আগমন ঘটে। এখানে ভ্রমন পিপাষুদের জন্য রয়েছে আকর্ষনীয় সব সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা। যেমন সুবিশাল পিকনিক স্পট, দোলনা, সাংস্কৃতিক মঞ্চ, প্রাকৃতিক পরিবেশে নদীর পাড়ে তাবুতে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা। এছাড়া, পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে অসাধারন সৌন্দর্যে ভরপুর হারেক রকমের কটেজ। আরো রয়েছে বর্তমান যুগের তরুন প্রজন্মের সবচেয়ে আনন্দের এ্যাডভেঞ্চার মাধ্যম কায়েকিংয়ের ব্যবস্থা। যেখানে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করে কর্ণফুলী নদীতে কায়েকিং করতে পারা। পরিবার পরিজন নিয়ে কর্ণফুলী নদীতে ভ্রমনের জন্য রয়েছে ইন্জিনচালিত বোটের সু-ব্যবস্থা। উক্ত পর্যটন কেন্দ্রে পাওয়া যাবে হরেক রকমের দেশী-বিদেশী সুস্বাদু খাবার। পর্যটকদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে সুবিশাল পার্কিং ও সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সত্যিকার অর্থে প্রশান্তি পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করলেই পর্যটকদের মন শান্ত- নিবিড় হয়ে যায় এবং তারা প্রায় সকলই এই পর্যটন কেন্দ্রের প্রেমে পড়ে যান। প্রশান্তি পার্ক পর্যটন কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, করোনার কারনে বিগত মার্চ মাস থেকে এই পিকনিক স্পটটি বন্ধ ছিলো। এতে আমাদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। অবশেষে ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা আবারো চালু করেছি এই পার্কটি। এবার আমরা আরোও আর্কষণীয় সাজে সজ্জিত করেছি এই বিনোদন কেন্দ্রটিকে। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে হয়ত কিছুদিনের মধ্যে আমাদের ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।