কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি আটক

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় উত্তর জলদী এলাকায় কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে শহীদুল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে। আটক শহীদুল আলম পৌরসভায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জলদী লস্করপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চমেকে নেওয়া হলেও আটক গৃহকর্তাকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ আলী বিবাহ সূত্রে পৌরসভায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জলদী লস্করপাড়া গ্রামের আমেনা বেগমের বাপের বাড়িতে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করতে শুরু করে। তাদের সংসারে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী মোহাম্মদ আলী মারা গেলে অভাবের তাড়নায় আমেনা বেগম ওমান প্রবাসে ঝিয়ের কাজ করতে চলে যায়। এদিকে তাদের কন্যা বিভিন্ন জনের বাড়িতে কাজের বুয়া হিসাবে কাজ করতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ রমজান থেকে এ কাজের মেয়েকে (১৪) বার বার ধর্ষনের ঘটনা করে। ইতিমধ্যে মেয়েটি গর্ভবতী হয়েছে বলে লোকমুখে ঘটনাটি জানা জানি হয়ে যাওয়ার পর মেয়েটির গর্ভপাত করানোর জন্য ঔষধ খাওয়ানো হলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া এ মেয়েটি চট্টগ্রাম শহরে বেড়াতে গেলে শহীদের অপর ভাইও তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর রাতে বাঁশখালী থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক শহীদুল ইসলাম কে আটক করে।

পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজগর হোছাইন বলেন, ‘আসামিপক্ষের লোকজন মেয়েটির পরিবারের সাথে বুঝাপাড়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি জানাজানি হলে থানা পুলিশ খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং শহীদুলকে আটক করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘এ ঘটনায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চমেকে প্রেরন করা হয় এবং আটক ধর্ষকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষিতা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে বলে জানান তিনি।’