স্বপ্ন ভাঙার বেদনায় কাঁদলেন নেইমার

২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনার মতো ক্লাব ছেড়ে নেইমার প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) এসেছিলেন ক্লাবটির জার্সিতে বিশ্বসেরার আসনে বসতে। প্রথম তিন মৌসুমে একাধিকবার ঘরোয়া আসরের শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন। তবে ইনজুরি সমস্যায় চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পিএসজির জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। চতুর্থবারের চেষ্টায় পিএসজিকে তুললেন ফাইনালে। ফরাসি জায়ান্টদেরও এটা প্রথম ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনাল। পর্তুগালের লিসবনে শিরোপার মঞ্চে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০তে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে পিএসজির। হৃদয় ভেঙেছে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারেরও। ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজতেই হৃদয় ভাঙার সেই বেদনায় চোখের জলে ভেসেছেন নেইমার।

ম্যাচের শুরুতেই ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়াল নয়্যার দারুণভাবে রুখে দেন নেইমারকে।

এরপর নেইমার বেশ কয়েকটি গোল করার মতো পাস বাড়িয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে। ব্যর্থ হয়েছেন দু’জনই। এত কাছে এসেও গড়া হলো না ইতিহাস। ম্যাচ শেষ হতেই চোখের জল আটকাতে পারলেন না নেইমার। শিরোপা উৎসব বাদ দিয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে এলেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা ও কোচ হ্যানসি ফ্লিক।

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও চোখের পানি লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন নেইমার। পিএসজি কোচ টমাস টুখেল ও সভপাতি নাসের আল খেলাইফিকেও দেখা গেছে নেইমারকে সান্ত্বনা দিতে।

২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে জিতেছিলেন প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা। কাতালানদের ইউরোপসেরা করতে বড় অবদান ছিল নেইমারের। তিনি চেয়েছিলেন মেসির ছায়া থেকে বের হয়ে বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে। ফাইনালে এসে হৃদয় ভাঙার বেদনা তাই লুকিয়ে রইল না। নেইমারের চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় ঝরে পড়ল পর্তুগালের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্তাদিও দা লুজ স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায়।