টেকনাফ প্রতিনিধি::
টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার গণশুনানি শুরু হয়েছে। আজ সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন তদন্ত কমিটি। এরপর তারা টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জের কার্যালয়ে গণশুনানির কার্যক্রম শুরু করেন।
শুনানি শুরুর আগে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন করা হয়েছে।এতে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন অংশ নিয়েছেন।
শুনানিতে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বক্তব্য শুনছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, সদস্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহা. শাজাহান আলী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ।
এর আগে শনিবার শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শন করেন, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম। সেখানে তিনি প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ই আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক। এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যা ব। যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। এর আগে একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুইটি, রামু থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। এই ৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে সিনহার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রাণী দেবনাথকে। তারা জামিনে মুক্ত রয়েছেন।