দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠন আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ কামালের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠী চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের করা হয়েছে। অদ্য ১৫ আগষ্ট বেলা ৪ ঘটিকায় এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামের শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, শেখ কামাল আবাহনী প্রতিষ্ঠা করে চির অমর হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ পুরুষ হচ্ছেন মরহুম শেখ কামাল। রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর ছেলে হয়েও তিনি সবার মতো আনন্দ ফূর্তিতে গা ভাসিয়ে দেননি। স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের দৈন্যদশা দেখে তিনি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়ে আবাহনী গঠন করে খেলাধুলাকে নতুন মাত্রায় জাগিয়ে তুলেছিলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সিজেকেএস সহ-সভাপতি লায়ন আলহাজ্ব দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন যতোদিন থাকবে ততোদিন শেখ কামাল মানুষের মনে চির জাগরুখ থাকবেন। আবাহনী আজ দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। শহীদ শেখ কামালের স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশ একদিন খেলাধুলায় বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থানে যাবে। আজ ঠিক তাই হয়েছে। এটাই একজন নেতার দূরদর্শীতা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর সভাপতি সাহাব উদ্দীন হাসান বাবুর সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী ইভানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমর্থক গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন নোয়াব, মাঈনুদ্দিন হাসান বাহাদুর, গোলাম মোস্তফা আজাদ, মোসলেহ উদ্দিন মোসলেম, রাশেদ ইবনে ফরিদ চৌধুরী, ফুটবল কোচ আবুল কাশেম, আলী ওসমান রাজু, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহবুবুর রহমান, স্বপন মজুমদার, হারুন অর রশীদ, সোহেল আহমেদ, মো. আলমগীর, আবদুল হাই, আজাদ চৌধুরী, মোঃ ইসমাইল প্রমুখ। পরে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ শেখ কামালের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মুনাজাত করা হয় এবং বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কবল থেকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানুষকে রক্ষা করার জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনায় দোয়া করা হয়।