সভাপতির পদে থেকেই তদন্তে সহায়তা করবেন ইনফান্তিনো

সুইজারল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল লবারের সঙ্গে বৈঠকের জের ধরে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে অপরাধ তদন্তে নেমেছে দেশটির শীর্ষ প্রসিকিউশন বিভাগ। এই তদন্তে আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছে, সুইস কর্তৃপক্ষ অকারণে তার (ইনফান্তিনো) বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে। ফিফা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ইনফান্তিনো ফিফার ভেতরে এবং বিশ্বজুড়ে তার স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন।
ফিফা জানিয়েছে ইনফান্তিনো প্রেসিডেন্ট পদে থেকেই তদন্তের কাজে সাহায্য করবেন, একই সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারেও আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছে ফিফা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুয়ায়ী, গত বৃহস্পতিবার সুইস কর্তৃপক্ষ জানায়, ফিফা সভাপতি অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল লবারের সঙ্গে সন্দেহজনক কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। আর এজন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বিষয়টি দেখছেন বিশেষ কৌঁসুলি স্টেফান কেলার। লবার এবং ইনফান্তিনো দুজনই অবশ্য কোনোরকম অন্যায় বা অপরাধ করার কথা অস্বীকার করেছেন। ফিফা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘কোনোরকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দূরতর সম্ভাবনা ছিল না এবং কোনোরকম অন্যায় এখানে আদৌ করা হয়নি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে এই বৈঠকগুলো মোটেই গোপনে হয়নি; বরং তা হয়েছে জনসমক্ষে, হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের পছন্দ অনুযায়ী।
ফিফা এবং সভাপতির পক্ষ থেকে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলির ওপর অনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে অস্বীকার করা হয়েছে এই বিবৃতিতে।
দাবি করা হয়েছে, তদন্তকারী কৌঁসুলি কেলার এই তদন্তের পেছনে কোনো আইনগত ভিত্তিও দাঁড় করাতে পারেননি।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে ওই বৈঠকের সময় ফিফার ২০টি মামলা নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছিল। ইনফান্তিনো এসব ব্যাপারে কথা বলতেই দেশটির শীর্ষ আইনজীবী লবারের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। ফিফা বলছে, ‘বৈঠকের সময় ওএজি (অফিস অফ অ্যাটর্নি জেনারেল) ফিফা সংক্রান্ত ২০টির ওপর মামলার কাজ পরিচালনা করছিল। ওই সব তদন্তে ফিফাই ছিল ক্ষতিগ্রস্ত। ফিফা প্রেসিডেন্টের ওই বৈঠকের পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও ছিল তাই। ফিফার পক্ষ থেকে তদন্তে সহায়তা করা আমাদের লক্ষ্য ছিল সবসময়। ফিফা প্রেসিডেন্ট ও ফিফা অফিসার শীর্ষ অ্যাটর্নির সঙ্গে দেখা করে ফিফার পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেয়ার পাশাপাশি তদন্তে সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে।’