নিউজডেস্ক: চিংড়ি মাছের মাথায় ক্ষতিকর জেলি পুশ করে বাড়ানো হচ্ছে ওজন। পাকা মটরে রং মিশিয়ে করা হচ্ছে সবুজ। পোড়াতেলে তৈরি হচ্ছে মুখরোচক খাবার।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নগরের আকবরশাহ, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা এলাকায় বাজার তদারকিমূলক অভিযানে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়গুলো উঠে আসে।
চারটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নগর পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানে পোড়াতেল, অননুমোদিত রং, ফ্লেভার, মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ, রং দেওয়া করমচা, মটর ও জেলি মেশানো চিংড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।
অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, আকবরশাহ থানার কর্নেলহাট কাঁচাবাজারে জসিম আলির মাছের দোকানকে জেলিযুক্ত চিংড়িমাছ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ধ্বংস করা হয় ৮ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়িমাছ। পাহাড়তলী থানার আব্দুল আলী হাট এলাকার আম্মান ফার্স্টফুডকে পোড়াতেল সংরক্ষণ, অননুমোদিত রং, ফ্লেভার, মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ ব্যবহার, রং দেওয়া করমচা ব্যবহারের অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৮০ লিটার পোড়াতেল, মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ, অননুমোদিত রং এবং রংদেওয়া করমচা ধ্বংস করা হয়।
হালিশহর থানার ফইল্যাতলী কাঁচাবাজারে রং দেওয়া মটর বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় কাদেরের সবজির দোকানকে ৫ হাজার টাকা ও রাজিবের সবজির দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয় একই সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি রং দেওয়া মটর ধ্বংস করা হয়।
জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে আগামী দিনে ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানান মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।