সিদ্দিকবাজার তরুণ প্রজন্ম পরিষদের মাস্ক বিতরণ

 

করোনা পরিস্থিতিতে মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ও জনসচেতনায় বিনামূল্যে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণের ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “সিদ্দিকবাজার তরুণ প্রজন্ম পরিষদ”।

 

আজ এ সংগঠনের উদ্যোগে রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল থানার ৩৪নং ওয়ার্ড সিদ্দিক বাজারে প্রায় ৫ শতাধিক অসহায়, দুস্থ, রিকশা চালক, ভ্যান চালকসহ ছিন্নমূল, পথ শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী মাস্ক বিতরণের এই সেবামূলক কর্মসূচীর প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং বংশাল থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা হাজী মো. ইসমাইল হোসেন। এ সময় সংগঠনটির অন্যতম উপদেষ্টা ও বংশাল থানা আওয়ামীলীগ নেতা মো. আমিন উদ্দিন সহ এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, উদ্যমী তরুণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উক্ত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সিদ্দিক বাজার তরুন প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি মো. আফতাব উদ্দিন এবং পরিচলনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান অনিক।

 

এছাড়া উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিক বাজার তরুন প্রজন্ম পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ময়ন, সহ-সভাপতি বাপ্পা, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হোসেন রবিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সাকিব (বাবু), সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে মো. হাসান, সাজ্জাদ হোসেন শাওন, মো. বাপ্পি হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মো. অপু, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সামাউন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-সম্পাদক মো. আলিফ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয় সম্পাদক মো. ফাহিম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফ হোসেন তোহা সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনার এই দুর্যোগকালে গত তিন মাস ধরে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে এলাকায় অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দেন এবং রান্না করা খাবারসহ, ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সমাজের অবহেলিত মানুষদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

বিনামূল্যে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম আপাতত করোনা মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায়।