নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে নতুন শতাব্দীর শুরুর দশক। লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন হাবিবুল বাশার। অধিনায়কত্বও করেছেন অনেকদিন। ফলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তার মূল্যায়ন একটা বিশেষ কিছু। এই মূল্যায়নই করেছেন তিনি ইএসপিএন ক্রিকইনফোর জন্য।
হাবিবুল বাশার যাদের সঙ্গে খেলেছেন, তাদের ভেতর থেকে বেছে নিয়েছেন নিজের সেরা একাদশ। আর এই একাদশে ঠাঁই হয়েছে আল শাহরিয়ার রোকন, আফতাব আহমেদের মতো সেভাবে বিকশিত হতে না পারা খেলোয়াড়রা। যথারীতি দলে আছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।
হাবিবুলের এই দলের দুই ওপেনার হলেন তামিম ইকবাল ও জাভেদ ওমর বেলিম। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা ব্যাটসম্যান। আর জাভেদকে নিয়ে বলতে গিয়ে হাবিবুল বলেছেন, ‘সে জানত, কীভাবে নতুন বল সামলাতে হয়।’ ওপেনার হিসেবে তার আরো বিবেচনায় ছিলেন মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত, শাহরিয়ার নাফিস ও নাফিস ইকবাল।
তিন নম্বরে হাবিবুল রেখেছেন আল শাহরিয়ার রোকনকে। তিন নম্বরে হাবিবুলের নিজের স্থান এক সময় পাকা ছিল। নিজেকে বিবেচনায় রেখেও রোকনকে এগিয়ে রেখেছেন সাবেক অধিনায়ক।
চার নম্বরে অবধারিতভাবে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। আর পাঁচে সাকিব আল হাসান। এই দুটি জায়গা নিয়ে খুব আলোচনার সুযোগ নেই।
পাঁচ নম্বরে এসেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। শুধু তাকে দলে রেখেছেন, তাই নয়, মাশরাফি থাকা সত্ত্বেও হাবিবুলের এই দলের অধিনায়ক বুলবুল। ছয়ে একেবারেই ফুটতে না পারা মারকুটে ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ।
স্রেফ বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আছেন মোহাম্মদ রফিক। আব্দুর রাজ্জাকস হাবিবুলের সময়ই সেরা ফরমে ছিলেন। কিন্তু হাবিবুল বাঁহাতি স্পিনারদের লড়াইয়ে রফিককে এগিয়ে রেখেছেন।
তিন পেসার হিসেবে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাপস বৈশ্য ও শাহাদাত হোসেন। মাশরাফিকে নিয়ে বলতে গিয়ে হাবিবুল বলেছেন, ‘আমি স্লিপে দাঁড়িয়ে নাসের হোসেনকে ওর বিপক্ষে সংগ্রাম করতে দেখেছি। সে ছিল সত্যিকারের এক উইকেট টেকার বোলার।’
তাপস বৈশ্যও প্রতিভার বিবেচনায় খুব সাফল্য পাননি। অন্যদিকে শাহাদাত বিশৃঙ্খল জীবন যাপন করে ছিটকে গেছেন। তারপরও এরা এই স্বপ্নের একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন।
হাবিবুলের এই দলে জায়গা হয়নি দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুলের।