বর্তমানে আট কোটি টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে দেশের মানুষের জন্য ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকা সংরক্ষণ অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

বর্তমানে আট কোটি টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারসহ রাজধানীর পাঁচটি স্থানে করোনা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করছে সরকার।

রোববার (২৫ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এর ফলে এ টিকা সংরক্ষণ করতে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হবে। আর পরিবহনের জন্য থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান প্রয়োজন হবে।

তিনি বলেন, আগামী এক বছরে ২১ কোটি টিকা দেশে আসবে। কয়েকটি দেশ থেকে টিকা আনা হবে। টিকা রাখার ব্যবস্থাপনা জরুরি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদেশ থেকে ফ্রিজ আনার পরিকল্পনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত এক কোটি ২০ লাখের মতো লোক ভ্যাকসিনেটেড হয়েছেন। আমরা যে বিভিন্ন ভ্যাকসিন অর্ডার করেছি এবং প্রতিশ্রুতি পেয়েছি তার সংখ্যা ২১ কোটি। এর মধ্যে চায়নার তিন কোটি, তিন কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, কোভ্যাক্সের সাত কোটি, রাশিয়ার এক কোটি এবং জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির সাত কোটি, যেটা আগামী বছরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। অর্থাৎ ২১ কোটি ভ্যাকসিনের আমরা ব্যবস্থা করেছি। এ ভ্যাকসিনগুলো আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ লোককে দেওয়া যাবে।

ফিল্ড হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ফিল্ড হাসপাতালের অগ্রগতি ভালো। আশা করছি ফিল্ড হাসপাতালে আগামী সপ্তাহ থেকে রোগী ভর্তি করা যাবে। ’

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৪ জন রোগী। এটি চলতি বছরের একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় আগামীতে কয়েকটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। ’