জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈদ্যুতিক চুল্লি বানান

পারমানবিক শক্তির প্রতিযোগিতা না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈদ্যুতিক চুল্লি বানানোর আহ্বান করেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম ধনী বিল গেটস। নিউক্লিয়ার এনার্জি ইনস্টিটিউটের পারমানবিক শক্তি সম্মেলনে এক বক্তব্যে তিনি পারমানবিক চুল্লি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক চুল্লির পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।বিল গেটস নিজেও টেরা পাওয়ার নামে একটি পারমানবিক বৈদ্যুতিক চুল্লি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের চলমান পারমানবিক বৈদ্যুতিক চুল্লি নিয়ে অঙ্গিকার ঠিক রাখা এবং এই খাতে নতুন করে বিনিয়োগ করা। বিল গেটসের মতে, যদি আমরা জলবায়ু সমস্যারটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি, তাহলে আমাদের সবার আগে আন্তরিক হতে হবে নিরাপদ চুল্লি কার্যক্রমের ব্যাপারে। আমেরিকায় জলবায়ুর দুষণ কমাতে হলে ক্ষতিকর বস্তুর নির্গমন শূণ্যতে নামাতে হবে। আর জন্য পারমানবিক চুল্লির দিকে মনযোগ দিতে হবে।বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশই আসে পারমানবিক উৎস থেকে। তবে এই উৎস থেকে যদি চাহিদা পূরণে ভালোভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়, তাহলে আরো নতুন চুল্লির কাজ শুরু করতে হবে।গত এপ্রিলে দ্য ইন্ডিয়ান পয়েন্ট এনার্জি সেন্টার তাদের নিউ ইয়র্ক সিটির সর্বশেষ পারমানবিক বৈদ্যুতিক চুল্লির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর এক্সেলন কর্পোরেশন ইলিনয়েসে অবস্থিত তাদের দুটি পারমানবিক চুল্লি বন্ধের ঘোষণা দেয়। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্র্যাশনের (ইআইএ) হিসেব অনুযায়ী, ১৯৬০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪০টি পারমানবিক উৎপাদন যন্ত্র (জেনারেটর) বন্ধ হয়েছে। তবে বাৎসরিক হিসেবে চলতি বছরই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পারমানবিক চুল্লি বন্ধ হয়েছে।