চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সন্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এখন শেখ হাসিনার সুরে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন শেখ হাসিনার সুরে কথা বলছে। আগে শেখ হাসিনা বলতেন, আমরা উন্নয়ন করছি, বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি, তাই নির্বাচন কেন দরকার? এখন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, আমরা সংস্কার করছি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন করছি। আমরা আপনাদের বলছি, সরি। সংস্কার আপনাদের কাজ না। আপনাদের কাজ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা।
তিনি শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম ক্লাবে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান এবং নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
এছাড়া, পুরো অনুষ্ঠানের তত্বাবধানে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পিএস মোহাম্মদ সেলিম এবং মহা
নগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।
গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ায় একমাত্র পথ। আর তার বাহক হচ্ছে, দেশের জনগণের ভোটে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে। এবং একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবার গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। সেই গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এবং নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেই সমস্ত ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা দেশের জনগণ মেনে নিবে না।
রাজনীতিতে এখন বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের পাশাপাশি চলতে হয়। একটি অপরটিকে ছাড়া যথাযথভাবে কার্যসিদ্ধি হয় না। দীর্ঘ সময় পর একটি স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। রাজনীতিতে এখন বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। নতুন বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
গণতন্ত্র ছাড়াই দেশ অতিবাহিত হচ্ছে উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, দেশে প্রত্যেকদিন গণতন্ত্র ছাড়া অতিবাহিত হচ্ছে। দয়া করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন। সংস্কার যেটা বলছেন এটা নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার যাবতীয় সংস্কার করবে