জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য গত ১৭ বছরে বিএনপির অগণিত নেতাকর্মীদেরকে গুম, খুন, পঙ্গু করেছে। জনগণের মৌলিক অধিকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এক নায়কতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করেছিল খুনি হাসিনা। রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে সবকিছু করেছে অবলীলায়, আয়নাঘর যার জলন্ত উদাহরণ। তিনি আরও বলেন বিএনপি সবসময় দেশের জনগণের দুঃখ দুঃদর্শা ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। বিএনপির মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান দেশের বাইরে থেকেও দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর রাখার জন্য এবং তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য। আমরা তার নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অবিচল থাকব।
তিনি ২৫ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুর ২ টায় চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ যুবদল নেতাকর্মী/পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত ঈদ উপহার বিতরণকালে এসব কথা বলেন। মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বিএনপি সবসময় দেশের মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। দেশের ক্রান্তিলঘ্নে বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে আমাদের দায়িত্ব হল অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ উপহার শুধু সামগ্রী নয়, এটি আমাদের ভালবাসা সহমর্মিতা একাত্বতার প্রতীক।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ যুবদল নেতাকর্মী/পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত ঈদ উপহার পাচ্ছেন-শহীদ মোঃ সেলিম, শহীদ হুমায়ুন কবির, শহীদ সাইদুল ইসলাম (সেলু ড্রাইভার), আরাফাত (পঙ্গু), মোঃ ইসমাইল হোসেন রাজিব (আহত), শহীদ মোঃ নাছির, মোঃ ইয়াছিন (আহত), শহীদ হারুন চৌধুরী, মোঃ জুয়েল (আহত-চোখ-৭ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে আহত), শহীদ মোঃ ইউসুফ ও শহীদ মোহাম্মদ আলম ৪ আগস্ট ২০২৪ চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত ঈদ উপহার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (প্রচারের দায়িত্বে) শিহাব উদ্দিন মুবিন, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, সাবেক প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, জহিরুল ইসলাম জহির, রিদুওয়ান হোসেন জনি, শফিউল বাশার শামু প্রমুুখ।